SSC Teachers Recruitment: যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য বাড়তে পারে শূন্যপদ, ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:০২: স্কুলে সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ (SSC Teachers Recruitment) প্রক্রিয়ায় যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য বাড়তে পারে শূন্যপদ। এমন সম্ভাবনার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সোমবার বিকাশ ভবনে (Bikash Bhavan) তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা সম্ভব নয়। মন্ত্রিসভায় বিষয়টি আলোচনায় উঠতে পারে। তিনি আরও জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর বাড়তি শূন্যপদ নিয়ে ভাবা হবে এবং আইনি পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। নতুন শূন্যপদ তৈরি হলে তা শুধুমাত্র যোগ্য চাকরিহারাদের জন্যই বরাদ্দ থাকবে।
রায়গঞ্জের এক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের আগেই তাঁর নাম ডক্যুমেন্ট ভেরিফিকেশন তালিকায় উঠে আসায় প্রশ্ন উঠেছে। ওই প্রার্থী বিশেষভাবে সক্ষমও। এ ঘটনায় আইনজীবীদের মত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরেক প্রার্থীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তাঁর জন্ম ১৯৯৭ সালে হলেও অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই তথ্য জমা পড়ল, তা নিয়েও প্রশ্ন। ব্রাত্য বসু বলেন, অনলাইন আবেদনের সময় হয়তো তিনি কিন্ডারগার্টেনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছেন। ভেরিফিকেশন পর্যায়ে সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। এসএসসি (SSC) তাঁকে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ছাড়া অন্য টেন্টেড প্রার্থীদের নাম তালিকায় নেই।
নতুন চাকরি প্রার্থীদের কয়েকশো জন এদিন বিকাশ ভবন অভিযানে নামেন। করুণাময়ী থেকে রওনা দিলে পুলিশ তাঁদের উন্নয়ন ভবনের সামনে আটকে দেয়। পুলিশের দাবি, এসএসসি অফিস পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি ছিল, কিন্তু তাঁরা বিকাশ ভবনের দিকে এগোচ্ছিলেন যেখানে ধারা ১৬৩ বলবৎ থাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ। ফলে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে বিক্ষোভকারীরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি করতে থাকেন। পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা সরেননি। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পুলিশ বলপ্রয়োগ করে। বাসে তোলা হয় বহুজনকে, অনেকে মেট্রো স্টেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ পাশের সরকারি ভবন বা বইমেলা প্রাঙ্গণের দিকে চলে যান। কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে আজ, মঙ্গলবার থেকে বাংলা বিষয়ের প্রার্থীদের ডক্যুমেন্ট যাচাই শুরু হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১৫টি টেবিলে কাজ চলবে। প্রায় চারশো জনকে ডাকা হয়েছে। অন্যদিকে সোমবার তালিকায় ত্রুটির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা।