দেশভক্ত মুসলিম-খ্রিস্টানরাও ‘হিন্দু’, অসমে বিতর্কিত মন্তব্য মোহন ভাগবতের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:০০: ফের হিন্দুত্ব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন RSS প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। অসমে সংঘের শতবর্ষ উদযাপন মঞ্চে মোহন ভাগবতের বার্তা, “দেশমাতৃকার ভক্ত মুসলিম-খ্রিস্টানরাও হিন্দু।” বৃহত্তর হিন্দুত্বের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ধর্ম নয়, সংস্কৃতিই আসল পরিচয়। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, যদি মুসলিম ও খ্রিস্টানরা দেশমাতৃকার পূজারি হন, ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করেন এবং পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকারকে সম্মান জানান, তবে তাঁরাও আসলে ‘হিন্দু’।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবী, সম্পাদক ও লেখকদের একাংশ। তাঁদের সামনে ভাগবত বলেন, হিন্দুধর্মকে (Hinduism) কেবল ধর্মীয় অর্থে দেখা উচিত নয়। এটি কেবল খাদ্যাভ্যাস বা পূজারীতি নয়, বরং একটি বৃহত্তর সংস্কৃতি। তাঁর দাবি, হিন্দুধর্মের শক্তি এতটাই বিস্তৃত যে এটি বহু মানুষকে গ্রহণ করতে সক্ষম। মুসলিম ও খ্রিস্টানরা তাঁদের নিজস্ব উপাসনা ও ঐতিহ্য বজায় রেখেও যদি ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন এবং দেশকে পূজা করেন, তবে তাঁরাও হিন্দু।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অসমে দাঁড়িয়ে এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সীমান্তবর্তী রাজ্যের কিছু এলাকায় মুসলিমদের একাংশের বিরুদ্ধে ভারতবিরোধিতার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কিছু স্কুলে ‘বন্দেমাতরম’ গাওয়ার বিরোধিতাও হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এরা বাংলাদেশ ও ইসলামের প্রতি যতখানি অনুগত, ততখানি নয় নিজের দেশের প্রতি। এই প্রেক্ষাপটে ভাগবতের বক্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অতীতেও ভাগবত একাধিকবার বৃহত্তর হিন্দু সমাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ২০২১ সালে মুম্বইয়ের এক সভায় তিনি দাবি করেছিলেন, হিন্দু-মুসলমানদের পূর্বপুরুষ এক, তাই দেশের প্রত্যেক নাগরিকই হিন্দু। একই বছর মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারতের হিন্দু ও মুসলমানদের ডিএনএ (DNA) একই। সে সময় তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিতর্কও হয়েছিল।