স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ছবি যোগীরাজ্যে, সেলাই নয় শিশুর ক্ষতে পড়ল ফেভিকুইক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১০: এ যেন ভয়ঙ্কর এক দুঃস্বপ্ন! যা কল্পনা করা যায় না, তা-ই হল উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের মীরাটে আড়াই বছরের এক শিশুর চোখের পাশে গভীর ক্ষত সেলাই না-করে তাতে ‘ফেভিকুইক’ লাগিয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। শেষপর্যন্ত শিশুটির চোখের যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ক্ষতস্থান থেকে ফেভিকুইক সরানো হয়। অবশেষে সেলাই করা হয়।
জানা যাচ্ছে, দিন দু’য়েক আগে খেলতে খেলতে টেবিলের কোণে মাথা ঠুকে যায় মানরাজ সিংয়ের। চোখের পাশ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। শিশুটিকে দ্রুত নিয়ে যায় নিকটবর্তী ভাগ্যশ্রী হাসপাতালে। মানরাজের মা ইরভিন কৌরের অভিযোগ, হাসপাতালের ডাক্তার শিশুটির বাবাকে ফেভিকুইক আনতে বলেন। ক্ষত পরিষ্কার না-করে চিকিৎসক ক্ষতস্থানে ফেভিকুইক লাগিয়ে দেন। ইনজেকশন এবং সেলাই ইত্যাদির কথা বললেও চিকিৎসকরা জানান, ওসবের নাকি প্রয়োজন নেই। শিশুটির ব্যথা না-কমায়, ডাক্তার বলেন শিশুটি নার্ভাস হয়ে গিয়েছে এবং দ্রুত ব্যথা কমে যাবে।
মনরাজের মা জানান, তিনি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন টিটেনাস ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন আছে কি-না। ডাক্তার জানিয়ে দেন, টিটেনাসের প্রয়োজন নেই। তারপর শিশুটির পরিবার তাকে লোকপ্রিয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তিন ঘন্টা ধরে ক্ষতস্থান থেকে আঠা সরিয়ে চারটি সেলাই করেন। মিরাটের প্রধান চিকিৎসা আধিকারিক ডাঃ অশোক কাটারিয়ার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার। ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।