সিদ্দারামাইয়া Vs শিবকুমার! কর্নাটকের কুর্সি কার?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩০: কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল কি আসন্ন? কর্নাটকে কংগ্রেসের বিবাদ দিল্লির দরবার অবধি পৌঁছে গিয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের অনুগামী বিধায়কেরা বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। আজ, শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বৈঠক হতে পারে। তবে চূড়ান্ত কোনও খবর মেলেনি।
সিদ্দারামাইয়া প্রবীণ কংগ্রের নেতা। দিল্লির ইয়েস ম্যান। শিবকুমার দলের সম্পদ। একাধিক রাজ্যে দলের অন্দরের বিবাদে ঘুচিয়েছেন তিনি। এবার নিজেও বিবাদের অংশিদার। বৃহস্পতিবার রাতে চার্টার্ড বিমানে শিবকুমার অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কেরা দিল্লি পৌঁছন। দলের প্রভাবশালী ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন বিধায়ক রয়েছেন সেখানে। কর্নাটকের রাজনীতিতে এই সম্প্রদায় যথেষ্ট প্রভাবশালী।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, যত বিপ্লব মিডিয়ায়। তিনি তাঁর অনুগামীদের আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার খালি নেই বলে বিরোধী শিবিরের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া।
মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে সিদ্দারামাইয়া বনাম শিবকুমারের লড়াই ২০২৩ সালের মে মাসে দল ক্ষমতায় আসার সময় থেকে চলছে। শিবকুমারের দাবি, দলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল আড়াই বছর পর সিদ্দারামাইয়া তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া কথা রাখেননি। বিহারে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর শিবকুমার অনুগামীরা নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে সরব হয়েছে। বিহারে হারের পর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব চাপে আছে। তাই দাবি আদায়ে এখনই সরব হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শিবকুমার স্বয়ং এক সভায় বলেছেন, এক পদে বেশিদিন থাকার কোনও অর্থ হয় না। তাঁর অনুগামীদের মতে, হাইকমান্ডকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তাঁদের নেতা।
শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের দিল্লি যাত্রার বিষয়টি সম্পর্কে অবহিতই নন তিনি। তাঁর শরীর ভাল নয় বলে জানান তিনি। অন্য দিকে, সফরসূচি কাটছাঁট করে দ্রুত বেঙ্গালুরু ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শুক্র এবং শনিবার যথাক্রমে কর্নাটকের মাইসুরু এবং চামারাজনগরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। হঠাৎই সফর বাতিল করেন তিনি।