বিহারের NDA মন্ত্রিসভায় পরিবারতন্ত্র কাঁটা! প্রশ্ন BJP-র দ্বিচারিতা ঘিরে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩৯: বিজেপি, কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধী দলগুলিকে বার বার পরিবারতন্ত্রের খোঁচায় আক্রমণ করে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে নানান রাজ্যের বিজেপি সরকার, সর্বত্র পরিবারতন্ত্রের ছাপ স্পষ্ট। জর্জরিত বললেও কম বলা হয়। নেতার ছেলেমেয়েই নেতা, মন্ত্রী হচ্ছেন মোদী-শাহদের জমানায়। নয়া সংযোজন বিহারের NDA মন্ত্রিসভা।
নীতীশের মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যের মধ্যে অন্তত ১০ জনের মধ্যে পরিবারতন্ত্রের ছোঁয়া আছে। উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর বাবা শকুনি চৌধুরী একদা মন্ত্রী ছিলেন। মা ছিলেন বিধায়ক। মন্ত্রী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির ছেলে সন্তোষ সুমন। এবার তাঁর মাও বিধায়ক হয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং ও মা পুতুল কুমারীর মেয়ে শ্রেয়সী সিং মন্ত্রী হয়েছেন। রমা নিশাদ, বিজয় চৌধুরী, অশোক চৌধুরী, নীতীন নবীন, সুনীল কুমার লেশি সিং, সকলেরই পরিবারের কেউ না কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সব্বাই পরিবারতন্ত্রের ফসল।
সবচেয়ে চমকপ্রদ নাম দীপক প্রকাশ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে দীপককে কেউ তেমন চিনতেন না বিহারে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিদেশে। বিহারের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল না। ভোটেও লড়েননি। রাজনীতি করেননি একদিনের জন্যেও। কোনও দলের ঝান্ডা ধরেননি। কোনও রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্যও নন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দীপক, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিহার বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহার ছেলে। এবার তাঁর মা স্নেহলতা কুশওয়াহাও বিধায়ক হয়েছেন।
NDA-র শরিক কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। সেই দলের কোটায় যে মন্ত্রক মিলেছে, তা নিজের ছেলেকে দিয়েছেন উপেন্দ্র। তাঁকে বিধান পরিষদের সদস্য করে আনা হবে। এতেই প্রশ্ন উঠছে, যে নীতীশ কুমার লালুপ্রসাদের পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করেছেন, যে মোদী, যে বিজেপি বরাবর কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে আক্রমণ করেছে, তারাও! তবে কি পরিবারতন্ত্রের খোঁচা কেবল নামেই!