১০/১১ দিল্লি বিস্ফোরণ থেকে শিক্ষা, মেডিক্যাল কলেজে ‘দেশবিরোধী আচরণ’ ঠেকাতে নির্দেশিকা আনছে NMC

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০৬: দিল্লির লালকেল্লার (Delhi Red Fort) কাছে ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণ মামলার জেরে এবার নড়েচড়ে বসেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (NMC)। আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al-Falah University) কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের পর কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশজুড়ে মেডিক্যাল কলেজ ও চিকিৎসকদের জন্য নতুন আচরণবিধি চালু করা হবে।
NMC-র এথিক্স এবং মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বোর্ড (Medical Registration Board) এই নির্দেশিকা তৈরি করছে। এতে দায়িত্ববোধ, পেশাগত আচরণ, জাতীয় স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার এবং কর্মক্ষেত্রে ‘দেশবিরোধী কার্যকলাপ’ রোধের বিষয়গুলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। দেশের সব মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পাঠানো হবে এই নির্দেশিকা।
এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, আল-ফলাহ মেডিক্যাল কলেজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে চলতি তদন্তের ওপর। হরিয়ানা সরকার ও কেন্দ্রের মতামত দেখেই কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
হরিয়ানা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আইনের আওতায় আল-ফলাহ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে মেডিক্যাল ছাড়াও একাধিক কোর্স পড়ানো হয়। ২০১৯ সালে অনুমোদন পাওয়া এই মেডিক্যাল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ১৫০টি এমবিবিএস আসন ইতিমধ্যেই পূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা না থাকার আশ্বাস দিয়েছে এনএমসি। কমিশনের বক্তব্য, “দোষী নন এমন কোনও মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।”
এদিকে আর্থিক তছরুপের মামলায় আল-ফলাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান জওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি (ED)। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে চলছে জোর তল্লাশি। সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট ও অন্যান্য সংস্থার আর্থিক খাতা এখন ইডির নজরে।
দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় ফরিদাবাদ পুলিশ (Faridabad Police) বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে এক চরমপন্থী মডিউলের ঘাঁটি হিসেবে কাজ করছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সমান্তরালভাবে তদন্তে নেমেছে।