স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বঞ্চিত বাংলা? মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের ৬৩ কোটি টাকা আটকে রাখার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:১৪: কেন্দ্রের তরফে ‘ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস’ বা ‘এনকোয়াস’ এবং ‘কায়াকল্প’ জোড়া শংসাপত্র পেয়েছে বাংলা। ‘এনকোয়াস’ বাবদ বাংলার ২ হাজার সরকারি হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রাপ্য পুরস্কার-ইনসেনটিভের পরিমাণ প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। ‘কায়াকল্প’ বাবদ প্রায় ১৯ কোটি টাকা পাওয়ার কথা রাজ্যের। অভিযোগ সেই টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় দেশের শ্রেষ্ঠ সার্টিফিকেট হল ‘ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস’ বা ‘এনকোয়াস’। সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ইনফেকশন কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ শংসাপত্র ‘কায়াকল্প’। নজির দু’টি সার্টিফিকেটই অর্জন করেছে বাংলা। অপারেশন থিয়েটার, লেবার রুম, ওষুধ সরবরাহ, রোগীদের কেমন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, তাদের সুস্থ হতে কতদিন সময় লাগছে, একাধিক বিষয় দেখে তবে শংসাপত্র দেওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে চলে পরিদর্শন। হাসপাতাল ভেদে ৫০ থেকে ৭৫টি বড়সড় মানদণ্ড ও ৫০০ থেকে ২ হাজার সূচক যাচাই করা হয়। সার্বিকভাবে ৭০ শতাংশ নম্বর ও ৫০-৭৫টি মানদণ্ডের প্রতিটিতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে তবেই সার্টিফিকেট মেলে। বাংলার সরকারি হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি ধারাবাহিকভাবে দেশের সেরা হয়ে আসছে দুই ক্ষেত্রেই। কিন্তু কৃতিত্বের ‘পুরস্কার’-এও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা।
স্বাস্থ্যভবনের অভিযোগ, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার সুবাদে প্রাপ্য ৬৩ কোটি টাকার পুরস্কার এবং ইনসেনটিভ আটকে রেখেছে মোদী সরকার। বাংলার প্রায় দু’হাজার সরকারি হাসপাতাল ও সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র এই বঞ্চনার শিকার। দু’বছর ধরে ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রেখেছে মোদী সরকার। ২০২৩-২৪ সালে স্বাস্থ্য পরিষেবার কেন্দ্রীয় শংসাপত্র অর্জনে দেশের সেরা হয়েছিল বাংলা। ২৪-২৫ সালে হয় দ্বিতীয়। বাংলার একাধিক হাসপাতাল ‘এনকোয়াস’- ৯৮ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে।
দেশের সব রাজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ সরকারি হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এবং ১০০ শতাংশকে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘এনকোয়াস’ শংসাপত্র অর্জন করতে হবে, এমনই বলেছে কেন্দ্র। বাংলা ইতিমধ্যে প্রায় পূরণ করে ফেলেছে লক্ষ্য। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, বাংলাকে পিছিয়ে দিতেই পরিকল্পনা আটকে রাখা হয়েছে টাকা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ভাল কাজ করেও স্রেফ রাজনীতির শিকার হতে হবে বাংলাকে?