বিহারের পরে এবার টার্গেট বাংলা, ছাব্বিশে ১৬০-র বেশি আসন জিততে কী কৌশল বিজেপির?

November 24, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৩৭: বঙ্গে আগামী মার্চ-এপ্রিলেই হতে পারে ভোট। সদ্য বিহার জয়ের (Bihar Election) উল্লাস সবে থিতু হয়েছে। তার মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের দৃষ্টি এখন বঙ্গে। দলীয় সূত্রের খবর, এবার বিজেপির (BJP) টার্গেট ১৬০-১৭০ আসন দখল। তবে লড়াইয়ে কৌশল বদলেছে। বিজেপির নিশানায় সরাসরি মমতা (Mamata Banerjee) নন, বরং তৃণমূলের (TMC) জনভিত্তি ও গ্রাউন্ড-লেভেল কর্মীরা।

বিজেপি (BJP) মনে করছে, তৃণমূলের গ্রামীণ কর্মীদের বড় অংশ নির্বিকার। তাঁদের অনেকেরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রতি আনুগত্য নেই। তাই এই স্তর থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠকে টেনে নেওয়াই এ বার বিজেপির প্রধান লক্ষ্য। দলীয় এক নেতার ভাষায়, “বাংলায় পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি ছিল না। মমতার পরে অভিষেককে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা- এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।”

গত নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতো কয়েক জন তৃণমূল নেতাকে দলে টেনে নিয়েছিল বিজেপি। তার পরিণামে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়ে ইতিহাস লেখেন শুভেন্দু। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। বিজেপির স্পষ্ট অবস্থান- দলবদল নয়। কারণ, এতে ভোটশেয়ার খুব বাড়ে না বলে তাদের ধারণা। কর্মীভিত্তি দখল করাই বেশি সুফল দেবে।

বিহারে জাতপাতের সমীকরণ মিলিয়ে এনডিএ (NDA) মোট ২০০-রও বেশি আসনে জয় পায়। পর্যবেক্ষকদের মতে বাংলায় সেই ফর্মুলা চলবে না। এখানে জাতভিত্তিক ভোটের প্রবণতা কম। তাই বিজেপি লক্ষ্য রাখছে ধর্মীয় ও আঞ্চলিক মেরুকরণের সমীকরণে।

বাংলায় প্রায় ৩০% ভোটার মুসলিম। কিন্তু তাদের প্রভাবশালী আসন মাত্র ৩০-৪০টি। বিজেপির বিশ্লেষণ, “তৃণমূল মুসলিম ভোট পেলেও তা আসন-গণিতে খুব বড় প্রভাব ফেলে না।” অন্যদিকে, হিন্দু ভোট ভাগাভাগি হলে বিজেপির সুযোগ কম। তাই হিন্দু মেরুকরণ বাড়াতে বিজেপি তৎপর।

গত দুই লোকসভা ও বিধানসভা মিলে বাংলায় বিজেপি ১০০-র বেশি আসন পেয়েছে। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে তাদের সেরা ফল, ১৮টি আসন, ভোটশেয়ার ৪০.২৫%। ২০২১-এ বিধানসভায় পায় ৭৭টি আসন। ২০২৪-এ লোকসভায় কিছু ক্ষতি হলেও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকায় তাদের জনভিত্তি বেড়েছে।

তৃণমূলের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ৪৮% ভোটশেয়ার। বিজেপির স্বীকারোক্তি, আরও ৬% ভোট না বাড়ালে লক্ষ্য ধরা অসম্ভব। এই অতিরিক্ত ভোট তুলতে হবে সুবিবেচিত প্রার্থী বাছাই, কর্মীভিত্তি দখল এবং শক্তিশালী বুথ সংগঠনের জোরে। এখানেই বিজেপির সাংগঠনিক দক্ষতার পরীক্ষা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen