বৈঠকের সরাসরি লাইভ সম্প্রচার হোক, কমিশনকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩২: প্রায় এক বছর যাবৎ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) ভূমিকা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন (Derek O Brian) কমিশনকে চিঠি দিয়ে সাক্ষাতের দাবি জানিয়েছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সদ্যই দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশ্যে। অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে কমিশন।
আগামী শুক্রবার দিল্লির নির্বাচনী সদনে পাঁচ সদস্যের তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আলোচনার জন্য ডাকাও হয়েছে কমিশনের তরফে। দলনেত্রীর ঠিকানায় পৌঁছেছে চিঠি। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)।
সমাজ মধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের দাবি, নির্বাচন কমিশন যদি সত্যি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার কথা বলে, তাহলে পাঁচজনের বদলে দশজন সাংসদের সামনে আলোচনা করতে আপত্তি কোথায়? সরকার মনোনীত সিইসি (CEC) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সাংসদদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন। অভিষেক জানান, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে মাত্র পাঁচটি প্রশ্ন রাখতে চায়। তাঁর প্রস্তাব, বৈঠকের সরাসরি লাইভ সম্প্রচার করা হোক, যাতে দেশবাসী দেখতে পান।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) SIR ইস্যুতে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তারপরই কমিশন আলোচনার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। প্রসঙ্গত, সোমবার দু’টি সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে (Election Commission of India) চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য প্রকাশিত রিকোয়েস্ট অফ ফর্ম অনুযায়ী রাজ্যের সিইও দফতরের তরফে বাইরে থেকে ১,০০০ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং ৫০ জন সফটওয়্যার ডেভেলপার নিয়োগের উদ্যোগ, বেসরকারি আবাসন কমপ্লেক্সের ভিতরে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব, এই দুই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এতদিন ডেটা এন্ট্রি সংক্রান্ত জরুরি কাজের জন্য জেলা প্রশাসনই প্রয়োজনমতো অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করত। বর্তমানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মী এবং চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের মাধ্যমে কাজও চলছে। তাহলে হঠাৎ করে আলাদা করে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ কেন?