“দায় আমারই” ০-২ হোয়াইটওয়াশের পর গম্ভীরের স্বীকারোক্তি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৩০: গুরু গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে ভারতের টেস্ট দল যে গভীর সংকটে পড়েছে, গুয়াহাটি টেস্টের ৪০৮ রানের লজ্জাজনক হার তারই প্রমাণ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৫ বছর পর ঘরের মাঠে ০-২ সিরিজ হোয়াইটওয়াশ শুধু ক্রিকেটীয় ব্যর্থতা নয়, বরং দলের কাঠামোগত দুর্বলতার স্পষ্ট বার্তা। ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে গম্ভীরকে কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়—তিনি কি এখনও টেস্ট দলের ভবিষ্যৎ কোচ থাকার যোগ্য?
গম্ভীরের জবাব ছিল স্পষ্ট—সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই। তিনি বলেন, *“ভারতীয় ক্রিকেট বড়, আমি নয়। আমি শুধুই দায়িত্ব পালন করছি। ফলাফল যেমন এসেছে, তার দায় আমার।”* সাংবাদিকদের সামনে তিনি নিজেকেই ব্যর্থতার প্রথম দায়ী হিসেবে তুলে ধরেন।
ভারতের টেস্ট পারফরম্যান্স তাঁর অধীনে সত্যিই চিন্তার। ১৮টি ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই হার। কিউইদের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী হোয়াইটওয়াশের পর দল পুনর্গঠিত হলেও ফলের কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরিবর্তনশীল একাদশ, অতিরিক্ত অলরাউন্ডার নির্ভরতা এবং স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারদের উপেক্ষা—এই সবই এখন প্রশ্নের মুখে।
তবে গম্ভীর আবারও জানালেন, তিনি কোনো খেলোয়াড়কে আলাদা করে দোষারোপ করেন না—*“৯৫/১ থেকে ১২২/৭ হওয়া মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যর্থতা কারও একার নয়, সবার।”*
টেস্ট ক্রিকেটে কী ধরনের ক্রিকেটার প্রয়োজন—এই প্রশ্নে গম্ভীরের বার্তা স্পষ্ট। তাঁর মতে, প্রতিভা নয়, মানসিক শক্তি এবং লড়াই করার ক্ষমতাই আসল—“সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ক্রিকেটার নয়, বরং দৃঢ় চরিত্রের সীমিত দক্ষতাসম্পন্নরা টেস্টে টিকে থাকে।”*
শেষে তিনি বলেন, ভারত সত্যিই যদি টেস্ট ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিতে চায়, তবে এখনই অগ্রাধিকার বদলাতে হবে—বোর্ড, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ—সবাইকে মিলেই পথ খুঁজতে হবে।