বারাসত মর্গ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ, নিয়োগপত্র পেলেন নিহত যুবকের মা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩৪: কথা রাখলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর বুধবার নিহত প্রীতম ঘোষের মা কৃষ্ণাদেবীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার (Supratim Sarkar)। বারাসতের (Barasat) কাজীপাড়া নেতাজিনগরে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) অতীশ বিশ্বাস-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা। অতীশ বিশ্বাস জানান, কৃষ্ণাদেবীকে ভূমি রাজস্ব দপ্তরে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
এদিকে মৃত যুবকের চোখ চুরির অভিযোগে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বুধবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অভিজিৎ সাহা জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের লিখিত অভিযোগ পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের (Department of Health) নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে স্বাস্থ্য ভবনে। পুলিশের কাছেও সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে।
মৃতের মেসোমশাই কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কথা রাখায় আমরা সন্তুষ্ট। এদিন রাতেই নিমতলা শ্মশানে দেহের সৎকার করা হবে।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার কাজীপাড়া রেলগেট সংলগ্ন যশোর রোডে একটি ছোট মালবাহী গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান ৩৫ বছরের প্রীতম ঘোষ। তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের অভিযোগ ওঠে, মৃতদেহের চোখ চুরি হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয় ইঁদুর চোখ নিয়ে গেছে, যা মানতে নারাজ আত্মীয়রা যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন।
সেই সময় বনগাঁ থেকে ফেরার পথে যশোর রোডে বিক্ষোভ দেখে কনভয় থামান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরিবারের কাছ থেকে গোটা ঘটনা শুনে তিনি সঠিক তদন্ত, আর্থিক সাহায্য এবং নিহতের মায়ের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। বুধবার নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হল।