শিবকুমার, সিদ্ধারামাইয়াকে দিল্লিতে তলব, তবে কি কর্ণাটকের কুর্সি বদল আসন্ন?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৪৫: কর্ণাটকের (Karnataka) কুর্সি সংকট মেটাতে আসরে নামল কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে শিবকুমার, সিদ্ধারামাইয়াকে দিল্লিতে তলব করলেন বলে খবর। কর্ণাটকের আরও কয়েকজন প্রথম সারির নেতাকে তলব করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল কর্ণাটকের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদে কে থাকবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বৈঠকে।
আগামী ১ ডিসেম্বর সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার শিবকুমারকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে কথা বলার জন্য রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন শিবকুমার। যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি তিনি। সূত্রের খবর, খোদ রাহুল গান্ধীই শিবকুমারকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠান। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা অধিবেশন। তার আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদের টানাপোড়েন শেষ করতে চায় দিল্লি।
সিদ্ধারামাইয়াও চাপ বাড়িয়েছেন। শীর্ষ নেতাদের তাঁর বার্তা, টানাপোড়েনে আদতে ক্ষতি হচ্ছে কংগ্রেসের। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তারপরই আসরে নামলেন খাড়গে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দুই নেতার সঙ্গে আলোচনা না-করে কোনওভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
ক্ষমতায় আসার পরই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে ভাগ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেসের দুই শিবির। একদিকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah), অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। শোনা যায়, সেই সময় শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ছিল আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার। আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি সরতে চান না। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। এখন দেখার, কী করে কাজিয়া মেটান রাহুলরা।