বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

‘লিপ ইয়ার’ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন কী 

February 29, 2020 | 2 min read

ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮ দিন। কিন্তু ৪ বছর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসে ১টি দিন বেড়ে যায় এবং ২৯ দিন হয়। একেই আমরা বলি ‘লিপ ইয়ার’ বা অধিবর্ষ। এই দিনটি যেহেতু ৪ বছরে একবার আসে তাই এই দিনটি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতুহলেরও অন্ত নেই। তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ নিয়ে কিছু অজানা তথ্য।

১. ‘লিপ ইয়ার প্রোপোজাল’ একটি জনপ্রিয় বিধি বা রীতি। এই রীতি মতে ২৯ ফেব্রুয়ারি মহিলারা বিয়ের জন্য তার সঙ্গীকে প্রোপোজ করে বা বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

২. অনেক দেশে অধিবর্ষে বিবাহ হয় না কারণ এই বছরটিকে অশুভ বলে মনে করেন করা হয়। যেমন গ্রীসে অধিবর্ষকে বিয়ের জন্য অশুভ মানা হয়।

৩. যাঁরা ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তাদের ‘লিপিংস’ বা ‘লিপার্স’ বলা হয়ে থাকে। বিখ্যাত মানুষদের মধ্যে কবি জন বায়রোম, গায়িকা ডিনা সোর এই দিনটিতে জন্মেছেন। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের জন্মদিনও ২৯ ফেব্রুয়ারি।

৪. ২৯ ফেব্রুয়ারি লিপ ডে পালন করার জন্য কোনও বিশেষ খাবার নির্ধারন করা হয়নি কখনও। কিন্তু এই দিনটি পালন করতে অনেকেই ব্যাঙের ঠ্যাং খান।

৫. জ্যোতিষিদের মতে যারা ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তারা অসামান্য প্রতিভার অধিকারি হন।

৬. জুলিয়াস সিজার অধিবর্ষের প্রস্তাব আনার আগে ক্যালেন্ডারে এক বছরে ৩৫৫ দিন পরিলক্ষিত হতো।

৭. রোমান সম্রাট সিজার আগাস্টাসের অহংয়ের কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে সবচেয়ে কম দিন থাকে। যখন জুলিয়াস সিজার ক্ষমতায় ছিলেন তখন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে ৩০ দিন ছিল। কিন্তু আগাস্টাস অখুশী ছিলেন কারন তার নামের মাসে মাত্র ২৯ দিন ছিল। কিন্তু জুলিয়াস সিজারের নামের মাস জুলাইয়ে ৩১ দিন ছিল। তাই আগাস্টাস ফেব্রুয়ারি থেকে দুই দিন কমিয়ে আগস্ট মাসে ভরপাই করেছিলেন।

৮. তাসমানিয়ার প্রাক্তন এক গভর্নর জেমন মিনে উইলসন নিজের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখের নিরিখে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি ১৮১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৮৮০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

৯. তাইওয়ানের মতে শহরে অধিবর্ষকে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য অশুভ মনে করা হয়। সেই কারণেই মূলত বিবাহিত মেয়েরা গোটা ফেব্রুয়ারি মাসটা বয়স্ক মা-বাবার সঙ্গে থেকে তাদের দেখভাল করে।

১০. ১৪০০ জনের মধ্যে ১ জন অধিবর্ষে জন্মগ্রহণ করে। চার বছর অন্তর তারা জন্মদিন পালন করার সুযোগ পান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#LeapYear2020, #leap year, #LeapDay2020

আরো দেখুন