বাংলায় SIR বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে! চিন্তায় বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: বিহারের পর দেশের ৯টি রাজ্য এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রাজস্থান, কেরল, গুজরাতে ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে’ বিএলও-রা মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর ‘আতঙ্ক এবং কাজের চাপে’ শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ৩১ দিনের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। অন্য রাজ্যগুলি বিজেপি-বিরোধী দলগুলি এই বিষয়ে সরব। ঘেঁটে ‘ঘ’ বঙ্গ বিজেপি।
ভোটার তালিকা সংশোধন হলে বাংলা জয় দরজায় কড়া নাড়বে বলে মনে করেছিল বঙ্গের গেরুয়া শিবির। কিন্তু বাস্তব যে অনেক কঠিন তা স্পষ্ট হয় তালিকা সংশোধন শুরু হতেই। বুমেরাং হচ্ছে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি। তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে চিহ্নিত হিন্দু নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পরার সম্ভাবনা প্রবল। তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে আগামিকাল বুধবার দিল্লিতে বঙ্গ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে দলের শীর্ষনেতৃত্ব। বৈঠকে থাকার কথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বি এল সন্তোষ, পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যর। বাংলার তরফে বৈঠকে থাকবেন রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য নেতৃত্ব।
এর আগে গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) এসআইআর-এর কাজ কেমন চলছে, তা মাঠেঘাটে নেমে পরখ করে দেখতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিজপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কমিটির সদস্যেরা এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম থেকে যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখবেন। বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-দের সুবিধা-অসুবিধার দিকটিও যাচাই করে দেখবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি এসআইআর নিয়ে জাতীয় স্তরে দলের মধ্যে সমন্বয়ের কাজও করবে এই কমিটি।
সাত সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। বাকি সদস্যেরা হলেন কে লক্ষ্মণ, কে অন্নামালাই, ওমপ্রকাশ ধনখড়, অলকা গুর্জর এবং জামইয়াং শেরিং নামগয়াল।
নির্বাচন কমিশন বাংলায় নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পরই মুখের হাসি চওড়া হয় বঙ্গের গেরুয়াকুলের শীর্ষ নেতাদের। তালিকা সংশোধন হলেও ব্যাপক হারে মুসলিম ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। যা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।
কিন্তু তালিকা সংশোধনের প্রথম পর্যায়ের কাজ যতো এগিয়েছে ততই চিন্তা বেড়েছে শমীক, সুকান্ত ও শুভন্দুদের। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যত নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার বড় অংশই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। অর্থাৎ হিন্দু ভোটার। তাই বিষয়টি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে চাইছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।