মহিলা ঘটিত অপরাধে শীর্ষে বিজেপির নেতারা! চাঞ্চল্য
একটা বর্ণিকা কুণ্ডুর ঘটনায় দেশে গেল গেল রব উঠেছিল। কিন্তু এমন হাজারো বর্ণিকা নেতা-মন্ত্রী এবং প্রভাবশালীদের লালসার শিকার হয়েছেন। বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়ে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু বিচারব্যবস্থা মুখ ফিরিয়েই রয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জয় পেয়েছেন, কেউ বা বিচারব্যবস্থায় যাঁতাকলে পড়ে বেঘোরেই মারা গিয়েছেন। অপহরণ, শ্লীলতাহানি, যৌন নিগ্রহ, মহিলাদের প্রতি অশালীন আচরণ করে কিন্তু ক্ষান্ত হননি সেই নেতা-সাংসদরা। সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৫১ জন বিধায়ক ও সাংসদ এমন গর্হিত অপরাধের পরও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশিত হতেই ফের একবার মুখ পুড়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির।
৫১ জনের মধ্যে ৪৮ জন বিধায়ক এবং বাকিরা সংসদের সদস্য। গণতান্ত্রিক সংস্কার সংগঠনের প্রকাশিত এই তথ্য আরও জানাচ্ছে, তালিকায় সবার উপরে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক ও সাংসদরা (১৪ জন)। এই সমস্ত বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে মহিলাদের অপহরণ, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্তা, অশালীন আচরণ এমনকী বধু নির্যাতনেরও অভিযোদ দায়ের রয়েছে, জানিয়েছে ওই সংগঠন। বিধায়ক-সাংসদ মিলিয়ে দেশের প্রায় ১৫৮১ জন নেতার (৩৩%) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫১ জনের বিরুদ্ধে মহিলা ঘটিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।
এখানেই শেষ নয়। সমীক্ষায় আরও অস্বস্তি অপেক্ষা করছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির জন্য। জানা গিয়েছে, মহিলা ঘটিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এমন ৪৮ জন নেতাকে নির্বাচনের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। এই বিষয়ে ঠিক বিজেপির ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে মায়াবতীর দল বিএসপি। ৩৬ জন এমন দাগীকে টিকিট দিয়েছিল বহুজন সমাজ পার্টি। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেরই ১২ জন বিধায়ক-সাংসদ মহিলা ঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত। তার পরেই রয়েছে এ রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা ১১ জন এবং তিন নম্বরে ওড়িশার সংখ্যাটা হল ৬ জন। এবার বোঝাই যাচ্ছে, এত সমালোচনার পরও রাজনৈতিক দলগুলি রয়েছে তাদের মেজাজেই। বিশেষ করে, শাসকদল বিজেপির ক্ষেত্রে বেশ অস্বস্তিকর এই সমীক্ষার তথ্য। এখনও যদি তারা শিক্ষা না নিয়ে অভিযুক্তদের জনপ্রতিনিধি করে তাহলে আগামিদিনে গেরুয়া শিবিরের আরও দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে।