‘হাতেখড়ি’ হলেও ভোটার তালিকায় নেই নাম! বাংলার নাগরিক হতে ‘অনিচ্ছুক’ খোদ রাজ্যপাল!

December 5, 2025 | 2 min read
Published by: Raj

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০.৪৫: রাজ্যের ‘প্রথম নাগরিক’ তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ঘটা করে বাংলা শেখার জন্য নিয়েছিলেন ‘হাতেখড়ি’। জানিয়েছিলেন বাংলা ভাষা ও বাংলার মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা। কিন্তু বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার (Voters of West Bengal) হতে চাইলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সূত্র অনুযায়ী, তিনি নিজের নিজের রাজ্য কেরলের ভোটার হয়েই থাকতে চেয়েছেন।

বর্তমানে রাজ্যে ভোটার তালিকার (Voter list) বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর কাজ চলছে। বাড়ি বাড়ি ভোটারদের তথ্য যাচাই এবং এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration form) বিলি করা হচ্ছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজভবনে (অধুনা লোক ভবন- Lok Bhavan) রাজ্যপালের নামে কোনও এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছয়নি। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়েই দেখা যায়, তিনি এ রাজ্যের ভোটার তালিকায় নামই তোলেননি। কমিশনের তথ্যভান্ডার বলছে, রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে তিনি যেমন কেরলের কোট্টায়াম জেলার ভোটার ছিলেন, এখনও তিনি সেখানকার ভোটার হয়েই থাকতে চান।

সাংবিধানিক প্রথা অনুযায়ী, কোনো রাজ্যের রাজ্যপাল চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভোটার হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রাজভবনের তরফে নির্বাচন কমিশনকে কেবল আবেদন জানাতে হয় এবং কমিশন সাধারণত কোনো তথ্য যাচাই ছাড়াই সেই আবেদন মঞ্জুর করে। রাজ্যের পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এই পথেই হেঁটেছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোটার (Voters of West Bengal) হয়েছিলেন এবং এ রাজ্যে ভোটও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজভবন সূত্রে খবর, বর্তমান রাজ্যপাল আনন্দ বোস (Governor Ananda Bose) এ রাজ্যের নাগরিক হতে আগ্রহ দেখাননি। তাই তাঁর নাম বাংলার ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়নি এবং সেই কারণেই তাঁর নামে কোনো এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration form) ইস্যু করা হয়নি।

বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে বিস্ময় জাগিয়েছে। কারণ, ২০২২ সালে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) নিজেকে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর পদবিতে ‘বোস’ থাকায়, তিনি জানিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস (Netaji Subhas Chandra Bose) তাঁর ‘নায়ক’। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনের ‘ইস্ট লন’-এ আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানের। এক খুদে শিক্ষার্থীর কাছে তিনি বাংলা বর্ণমালা লেখা শিখেছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালোবাসি।’’

প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেও, খাতায়-কলমে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার হতে চান না রাজ্যপাল, এমনটাই উঠে আসছে কমিশনের তথ্যে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen