আহত বাইক চালকের প্রাণ বাঁচিয়ে ফের নজির গড়ল অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়-২’

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩০: ফের মানবিক পরিষেবার উজ্জ্বল নজির গড়ল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্প ‘সেবাশ্রয়-২’।। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই পরিষেবার তৎপরতা আবারও প্রশংসা কুড়োল সাধারণ মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলার সম্প্রীতি ফ্লাইওভারের নীচে বাইক নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন জোকার বাসিন্দা অভিজিৎ বর। রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা কালবিলম্ব না করে তাঁকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী ‘সেবাশ্রয়-২’ ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত চিকিৎসকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহত যুবকের চিকিৎসা শুরু করেন। খবর পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতৃত্বও ক্যাম্পে উপস্থিত হন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিজিতের মাথা, হাত ও পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ক্যাম্পেই তাঁর মাথায় সেলাই করা হয়। চিকিৎসকদের তৎপরতায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি কিছুটা স্থিতিশীল হন।
মহেশতলা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভাশিস দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “ঘটনাটি আমাদের সেবাশ্রয় ক্যাম্পের একেবারে কাছেই ঘটে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা খবর পাওয়া মাত্রই তাঁকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে আমাদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে বাটানগর মডেল ক্যাম্পে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।”
এই ঘটনার পর শুক্রবার নিজের এক্স (X) হ্যান্ডলে ‘সেবাশ্রয়-২’-এর ভূমিকার প্রশংসা করে একটি পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি লেখেন, “সত্যিকারের সেবা কারও প্রতি দয়া হতে পারে না। এটা প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এই বিশ্বাস থেকেই ডায়মন্ড হারবারে সেবাশ্রয়ের জন্ম। এ বার সেবাশ্রয়-২ সেই প্রতিশ্রুতিতে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলেছে।”
একই সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘সেবাশ্রয়’ ক্যাম্পের সাফল্যের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি জানান, গত চারদিনে মোট ৭,২৯৬ জন মানুষ ক্যাম্পে এসে চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪,৬৪৮ জন বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ পেয়েছেন এবং ১৭৪ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।
সেবাকে ‘স্বার্থহীন এবং সীমাহীন’ আখ্যা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বার্তায় সংযোজন করেন, “সেবার পথে চলতে চলতেই আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি-যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই আমরা থাকব।”