স্বপ্নভঙ্গ! অষ্টম পে কমিশন নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:০৭: নতুন বছর পড়ার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা (Central government employees)। অষ্টম বেতন কমিশন কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নিয়ে তৈরি হল ঘোর অনিশ্চয়তা। যে আশায় বুক বেঁধেছিলেন দেশের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে সেই আশায় কার্যত জল পড়ে গেল।
গত ৩ নভেম্বর অষ্টম বেতন কমিশনের (Eighth Pay Commission) ‘টার্ম অব রেফারেন্স’ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কবে থেকে বর্ধিত বেতন কাঠামো কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। সম্প্রতি সংসদে আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দন এবং ডিএমকে সাংসদ থিরু থাঙ্গা তামিলসেলভান-সহ একাধিক সাংসদের করা এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের পর তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য ১৮ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই সরকার তা কার্যকর করার দিনক্ষণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে। অর্থাৎ, সরকারের হাতে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেকটা সময় রয়েছে। এই মন্তব্যের ফলেই ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কাঠামো চালু হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপারিশ জমা পড়া এবং তা খতিয়ে দেখার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার জেরে নির্ধারিত সময়ে বেতন বৃদ্ধি না-ও হতে পারে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ৫০.১৪ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৯ লক্ষ পেনশনভোগী অষ্টম বেতন কমিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। জল্পনা ছিল, এই কমিশন কার্যকর হলে সরকারি কর্মীদের ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ (Fitment factor) ২.৫৭ থেকে বেড়ে ২.৮৬ হতে পারে। এর ফলে ন্যূনতম বেসিক বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে একলাফে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এতে বেসিক পে, অ্যালাউন্স এবং পেনশন-সবক্ষেত্রেই বড়সড় লাভের আশা করছিলেন কর্মীরা।
কিন্তু অর্থমন্ত্রকের বর্তমান অবস্থানে স্পষ্ট, ২০২৬ সালের শুরুতেই বর্ধিত বেতন পাওয়ার যে স্বপ্ন কর্মীরা দেখছিলেন, তা এখনই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আপাতত রিপোর্ট জমা পড়া এবং পরবর্তী সরকারি নির্দেশিকার দিকেই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকতে হবে দেশের বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারীকে।