নেতাজির পদবির সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে বাংলার ‘দত্তক সন্তান’ হতে চান রাজ্যপাল!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪২: এসআইআর (SIR)-এর কাজ শেষ পর্যায়ে। বৃহস্পতিবারই ছিল এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর ঠিক এই দিনেই এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজভবন। খোদ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বাংলার ভোটার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে আসা বিএলও (BLO) এবং সুপারভাইজারদের কাছে ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র জমা দেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে চৌরঙ্গী বিধানসভার ১৬২-র ৩৮ নম্বর পার্টের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএলও গৌরাঙ্গ মালাকার রাজভবনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই সুপারভাইজার, অশোক তিওয়ারি এবং জয়ন্ত ঘোষ। রাজ্যপাল তাঁদের কাছ থেকে ৮ নম্বর ফর্ম গ্রহণ করেন এবং তা পূরণ করে জমা দেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি খাতায়-কলমে বাংলার ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেন।
আবেদন জমা দেওয়ার পর নিজের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “আমি এই বাংলার দত্তক সন্তান হতে চাই। রবীন্দ্রনাথ যে হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন, সেই বাংলায় আমি ভোটার হতে চাই।” নিজের পদবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “আমার পদবি বোস। নেতাজি সুভাষচন্দ্র এবং বোস-আমি মানসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই।” বাস্তবে নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, তিনি নিজের নিজের রাজ্য কেরলের ভোটার হয়েই থাকতে চেয়েছেন। কিন্তু এবারে উলট পুরাণ।
আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হলেও ভোটার তালিকায় নেই নাম! বাংলার নাগরিক হতে ‘অনিচ্ছুক’ খোদ রাজ্যপাল!
কেরলের কোট্টমের বাসিন্দা সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা একাধিকবার প্রকাশ করেছেন। ২০২২ সালের সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে ঘটা করে তাঁর ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি স্পষ্ট বাংলায় বলেছিলেন, “আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালোবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালোবাসি।” তিনি নেতাজিকে ‘মহানায়ক’ ও ‘অমর নায়ক’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।