মোদী-ট্রাম্প ফোনালাপ: পুতিনের সফরের পরেই সক্রিয় ওয়াশিংটন, কাটবে কি বাণিজ্য জট?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৪৮: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) ভারত সফরের রেশ কাটতে না কাটতেই নড়েচড়ে বসল ওয়াশিংটন (Washington)। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। পুতিনের সফরের অব্যবহিত পরেই এই ফোনালাপ এবং ভারতে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বৃহস্পতিবারের এই ফোনালাপে দুই রাষ্ট্রনেতা ভারত ও আমেরিকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে খবর, আলোচনায় মূল ফোকাস ছিল বাণিজ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র। বিশেষ করে ‘ইন্ডিয়া-ইউএস কমপ্যাক্ট’ (India-US COMPACT)-এর আওতায় একবিংশ শতাব্দীর সামরিক অংশীদারিত্ব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আদান-প্রদান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সখ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার (Russia) থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে আমেরিকার অন্দরে চাপ বাড়ছিল। তার ওপর সদ্য সমাপ্ত পুতিনের ভারত সফর সেই চাপে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মনে করা হচ্ছে, নয়াদিল্লিকে নিজেদের দিকে টানতেই তড়িঘড়ি এই ফোনালাপের উদ্যোগ।
তবে ফোনালাপের আবহ ইতিবাচক হলেও বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি বেশ জটিল অবস্থায় রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি না হলে চড়া শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছেন। প্রথম দফার আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্কও চাপানো হয়েছে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সাফ জানিয়েছেন, “ডেডলাইন মেনে আমরা আলোচনা চালাই না।”
ঘটনাচক্রে, বাণিজ্য জট কাটাতে মঙ্গলবারই ওয়াশিংটনের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে এসেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৯১ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।