বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি ভারতের, ঢাকার উদ্দেশ্যে কী বার্তা নয়া দিল্লির?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:১৮: অশান্তি বাংলাদেশ, আবারও টার্গেট সংখ্যালঘুরা। অবশেষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল ভারত। বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে বাংলাদেশ জ্বলছে। সরকারি ভবনে আগুন, সংবাদপত্রের দপ্তরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সাংবাদিক খুন, সাংস্কৃতিক সংস্থার কার্যালয়ে আগুন, তাণ্ডবলীলা, সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংস অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ময়মনসিংহে জনৈক দীপুচন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। দীপুচন্দ্র হত্যার বিচারের দাবি জানাল নয়া দিল্লি।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নিবিড়ভাবে নজর রেখেছে ভারত। সে’দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আধিকারিকরা যোগাযোগ রাখছেন। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, তা তাঁদের জানানো হয়েছে। দীপুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ভারত সেই আবেদন জানিয়েছে।’’
দীপুচন্দ্র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নয়া দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে শনিবার এক দল যুবক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তা নিয়ে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো খবর প্রচারের অভিযোগ উঠছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের মাটিতে অবস্থিত যে কোনও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নয়া দিল্লি বদ্ধপরিকর। রণধীর আরও বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশে ভুয়ো প্রচার দেখতে পাচ্ছি। সত্যি হল, শনিবার নয়া দিল্লির বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা ময়মনসিংহে দীপুর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান এবং স্লোগান দেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবি জানান। দূতাবাসে জোর করে প্রবেশের কোনও চেষ্টা করা হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। যার ফুটেজ প্রকাশ্যে রয়েছে।’’
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহে ভাড়া থাকতেন ২৭ বছরের দীপুচন্দ্র দাস। একটি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দীপুর উপর কোপ গিয়ে পড়ে। অভিযোগ, উন্মত্ত জনতা তাঁকে পিটিয়ে খুন করার পর তাঁর দেহ একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তার পর আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দীপুকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিবৃতি দিয়ে পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের পুলিশও বিবৃতি দিয়েছে আলাদা করে।