Electoral Trust-র মোট অর্থের ৮২ শতাংশই গিয়েছে BJP-র পকেটে!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:১৮: সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বললেও, চাঁদা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও খামতি নেই রাজনৈতিক দলগুলির। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে মোট ৩,৮১১ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে। ৯টি ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের প্রাপ্ত মোট অনুদানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গিয়েছে বিজেপি কোষে।
মোট অর্থের ৮২ শতাংশই গিয়েছে গেরুয়া দলের পকেটে। ৮ শতাংশ পেয়েছে কংগ্রেস। অন্যান্য দলগুলি সব মিলিয়ে ১০ শতাংশ অনুদান পেয়েছে। ২০ ডিসেম্বর অবধি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে ১৯টি নাথিভুক্ত ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মধ্যে ১৩টির অনুদান সংক্রান্ত বিবরণ ছিল। ৯টি ট্রাস্টের অনুদান সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে, প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ ৩,৮১১ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অনুদানের পরিমাণ ছিল ১,২১৮ কোটি টাকা। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে অনুদান বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ। মোট ৩,৮১১ কোটি টাকা অনুদানের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩১১২ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে ৮২ শতাংশ!
বিজেপি সবচেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছে প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই ট্রাস্ট পেয়েছে ২৬৬৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে বিজেপিকে ২১৮০.০৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্টকে অনুদান দিয়েছে জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং, ভারতী এয়ারটেল, অরবিন্দ ফার্মা, টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো সংস্থা। এই ট্রাস্ট থেকে সিংহভাগ অর্থ পেয়েছে বিজেপি।
প্রোগ্রেসিভ ইলেক্টোরাল ট্রাস্টে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ ৯১৭ কোটি টাকা। অনুদানের পরিমাণের নিরিখে এই ট্রাস্ট দ্বিতীয়। এই ট্রাস্টে অনুদান দিয়েছে টাটা গ্রুপ, যেমন টাটা সন্স, টিসিএস, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস এবং টাটা পাওয়ার। এরা ৯১৪.৯৭ কোটি টাকা রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান হিসাবে দিয়েছে। এই বিপুল অর্থের ৮০.৮২ শতাংশ গিয়েছে বিজেপির ভাঁড়ারে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বিজেপি মোট ৩,৯৬৭.১৪ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল। যার মধ্যে ১,৬৮৫.৬২ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৪৩ শতাংশ নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে এসেছিল। ২০২৪ সালে নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বন্ড ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পরও বেসরকারি সংস্থা বা কোনও ব্যক্তি চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্ট, ইউপিআই এবং ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দিতে পারে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয়। তাতেই প্রকাশ্যে এল এই তথ্য।