কর্পোরেট লোভে বলি ভারতের ‘ফুসফুস’ আরাবল্লী?খনন অনুমতি ঘিরে মোদী সরকারের দাবিতে প্রশ্নচিহ্ন
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৫১: শিল্পপতি মহলের স্বার্থরক্ষায় দেশের উত্তর ও পশ্চিম ভারতের প্রাকৃতিক ‘ফুসফুস’ বলে পরিচিত প্রাচীন আরাবল্লী পর্বতমালা ধ্বংসের পথ সুগম করছে কেন্দ্র—এমন অভিযোগে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। কয়লা ও নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত পাথরের বিপুল ভাণ্ডারকে কাজে লাগাতে আরাবল্লীতে খনন কার্যক্রমের আইনি বাধা শিথিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। এর জেরে হরিয়ানা, রাজস্থান ও গুজরাট জুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে।
বিতর্ক চরমে উঠতেই মুখ খুলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রের দাবি, খনন হলেও আরাবল্লীর ৯০ শতাংশ এলাকা সুরক্ষিত থাকবে। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানান, আরাবল্লী নিয়ে ভুল তথ্য ও অযথা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অরণ্যাঞ্চল, সংবেদনশীল এলাকা ও খনন কার্যক্রমের উপর কড়া নজরদারির মাধ্যমে পাহাড় রক্ষা করা হবে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, ১০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার পাহাড় ও সংলগ্ন ঢাল সম্পূর্ণ সংরক্ষিত থাকবে। তবে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, আরাবল্লীর বড় অংশের উচ্চতা ১০০ মিটারের নিচে হওয়ায় সেগুলি কার্যত সংরক্ষণের বাইরে চলে যেতে পারে।
আরাবল্লীর গুরুত্ব অপরিসীম—এখান থেকেই চম্বল, সবরমতী ও লুনি নদীর উৎপত্তি; এই পাহাড় থর মরুভূমির বিস্তার রুখে দেয় এবং দিল্লি-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জল ও বাতাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। পরিবেশকর্মীদের মতে, খনি ও রিয়েল এস্টেটের আগ্রাসন বাড়লে জীববৈচিত্র ধ্বংস, দূষণ বৃদ্ধি ও ভয়াবহ জলসংকট অনিবার্য। তাই প্রশ্ন উঠছে—পুঁজির লোভে কি দেশের প্রাকৃতিক ঢালকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে?