নিখোঁজ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! ‘এমপির সন্ধান চাই’ পোস্টারে ছয়লাপ নন্দীগ্রাম

December 22, 2025 | 2 min read

Authored By:

Saikat Saikat
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩০: লোকসভা নির্বাচনের পর দেড় বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত। অথচ দেখা মিলছে না স্থানীয় সাংসদের। এমনই অভিযোগ তুলে এবার খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে পড়ল তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) ‘নিখোঁজ’ পোস্টার। রবিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে বাদানুবাদ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের (Nandigram) ৪ নম্বর অঞ্চল, ভেকুটিয়া, দাউদপুর ও সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন দেওয়ালে এই পোস্টারগুলি স্থানীয়দের নজরে আসে। পোস্টারে সাংসদের ছবি দিয়ে বড় হরফে লেখা হয়েছে, “এমপির সন্ধান চাই”। নিচে লেখা, “অভিজিৎ গাঙ্গুলি এমপি-কে দেখেছেন? কোনও সহৃদয় ব্যক্তি সন্ধান পাইলে নন্দীগ্রামের জনগণের সহিত যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আর সেভাবে এলাকায় দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্যকে (Debangshu Bhattacharya) হারিয়ে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের দীর্ঘ সময় পর তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রামে এই ধরনের পোস্টার পড়ায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।

কারা দিল এই পোস্টার? তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি এর নেপথ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শেখ সামসুল ইসলাম কটাক্ষ করে বলেন, “এটা পুরোপুরি বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কয়েকদিন আগেই ব্রিগেডে এক প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় সরব হয়েছিলেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মনে হচ্ছে, সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই পোস্টার লাগিয়েছেন।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen