সদস্য সংখ্যায় ভাটার টান, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র মোকাবিলায় সংগঠন সাজাতে মরিয়া বাম মহিলা নেতৃত্ব
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: রাজ্যে ক্রমহ্রাসমান সদস্য সংখ্যা এবং বুথস্তরে সংগঠনের দুর্বলতা- এই জোড়া কাঁটা নিয়েই শুরু হল সিপিএমের (CPM) মহিলা সংগঠন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ৩০তম রাজ্য সম্মেলন। সোমবার থেকে কলকাতার রথীন্দ্র মঞ্চে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে নিচুতলা থেকে ঘুরে দাঁড় করানোর শপথ নিলেন নেত্রীরা।
দলীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে সিপিএমের মোট সদস্য সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার। উদ্বেগের বিষয় হলো, এর মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ মহিলা। পার্টির নিজস্ব রিপোর্টেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, শাখাস্তর বা নিচুতলা থেকে নতুন করে মহিলা নেতৃত্ব উঠে আসছে না। ফলে এরিয়া কমিটি বা জেলা কমিটি স্তরেও মহিলা নেতৃত্বের অভাব স্পষ্ট হচ্ছে। বুথস্তরে সংগঠন কার্যত নামমাত্র, এবং কোনো দৃশ্যমান কর্মসূচিও সেভাবে চোখে পড়ছে না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতো প্রকল্পগুলি মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষে বড় ভূমিকা নিয়েছে। যার ফলে তৃণমূলের প্রতি রাজ্যের মা-বোনেদের সমর্থন অটুট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বামেদের মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করা যে অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ, তা বিলক্ষণ জানেন আলিমুদ্দিনের শীর্ষ নেতারা। তাই এবারের সম্মেলনের মূল ফোকাস- কী কৌশলে বুথস্তরে সংগঠনকে চাঙ্গা করা যায় এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা যায়।
এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করে সারা ভারত মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাওয়ালে কড়া ভাষায় বিজেপি ও দক্ষিণপন্থী শক্তির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করে দক্ষিণপন্থী শক্তিকে পরাস্ত করতে হবে। সমানাধিকার ও নারীমুক্তির সংগ্রামকে আরও দৃঢ় করবে মহিলা সমিতি।”
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি জাহানারা খান, রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, মিনতি ঘোষ, অঞ্জু কর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বুথস্তরে হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারে আগামী দিনে বাম মহিলারা কী কর্মসূচী গ্রহণ করেন, এখন সেটাই দেখার।