পুজো উদ্বোধনে এসেও রাস্তায় দাগ কেটে দুরত্ববিধি বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী
পুজোর সময় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলছে রাজ্য সরকার। এবার পুজো উদ্বোধনে এসে নিজেই রাস্তায় গোল দাগ কেটে দুরত্ব বিধি বজায় রাখার পাঠ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তিনি উদ্বোধন করেন বেহালা ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক পুজো মন্ডপ। বেহালার বড়িশা ক্লাবে পুজার উদ্বোধনে এসে নিজেই রাস্তায় গোল দাগ কেটে দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতার একটি ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে গিয়ে ছবি এঁকে দিয়েছেন।
পুজো উদ্যোক্তাদের ইতিমধ্যেই অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য। মাস্ক, স্যানিটাইজর-সহ একাধিক জিনিস যা কোভিড প্রটোকল মেনে করতে হবে তা এই অনুদান থেকে করতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিকবার পুজো নিয়ে সাবধান করেছেন। বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের জানিয়েছেন, যেন মন্ডপে ভীড় না হয়। একসাথে বেশি দর্শনার্থী যেন ভিতরে প্রবেশ না করে। মাস্ক ছাড়া যেন কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। মাস্ক না থাকলে ক্লাব যেন মাস্কের ব্যবস্থা করে দেয়। বিভিন্ন ক্লাবগুলিকে মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুজোর ভিড় নিয়ে সতর্ক করেছে চিকিৎসকরাও। ফলে পুজো উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রীর এই দুরত্ববিধি করে দেওয়া যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ।
বড়িশা ক্লাবের যে পুজোর উদ্বোধন তিনি করেছেন তাদের থিমেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মাস্ক পড়ে এখন সব কিছু করতে হবে সেটিও উল্লেখ হয়েছে। যে বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে পুজো করা হয়েছে তা দেখে খুশি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্যোক্তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাজের প্রশংসা করেছেন। বেহালার বড়িশা ক্লাবের পাশাপাশি, নতুন দল, অজেয় সংহতি, ৪১ পল্লি, খিদিরপুরের দুটি পুজো, দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্থান পার্ক ও কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি।