বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন: ওপার বাংলায় আর পা রাখবেন না, চরম সিদ্ধান্ত রশিদ-পুত্র আরমানের
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৩০: অশান্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় মর্মাহত হয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন আরমান খান (Arman khan)। ময়মনসিংহের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে প্রয়াত উস্তাদ রশিদ খানের পুত্র জানিয়ে দিলেন, তিনি আর কখনও বাংলাদেশে গান গাইতে যাবেন না। একইসঙ্গে প্রতিবাদস্বরূপ সেখানকার সমস্ত পূর্বনির্ধারিত শো বাতিল করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে দীপু দাস (Dipu Das) নামের এক হিন্দু যুবককে কট্টরপন্থীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হয়। জনসমক্ষে তাঁর দেহ জ্বালিয়ে উল্লাস করার মতো নারকীয় ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে ওঠে সভ্য সমাজ। পদ্মাপাড়ের এই অরাজক পরিস্থিতি এবং হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ মেনে নিতে পারেননি আরমান খান।
বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আরমান জানান, মূলত দুটি বিষয় তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। প্রথমত, হিন্দুদের ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং দ্বিতীয়ত, বাদ্যযন্ত্রের ওপর নির্বিচার হামলা। সঙ্গীতশিল্পীদের কাছে বাদ্যযন্ত্র মা সরস্বতীর আধার। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুজোর সময়ে মায়ের পায়ে আমরা বাদ্যযন্ত্র অর্পণ করি। আর সেখানে ওরা আক্রমণ হেনেছে। এটা বাদ্যযন্ত্রের অপমান, শিল্পের অপমান। আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে।” পাশাপাশি, বাংলাদেশের স্থানীয় সঙ্গীতশিল্পীরা কেন এই ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না, তা নিয়েও বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে আরমান বলেন, “ঠিক যে কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, বাংলাদেশও সেই পথেই হাঁটছে। আগে দুই দেশের শিল্পীদের অবাধ যাতায়াত ছিল, কিন্তু নিজেদের কবর ওরা নিজেরাই খুঁড়ল।” তিনি আরও সংযোজন করেন, বাংলাদেশের সাধারণ জনতা এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে এখন আর বিশেষ কোনও ফারাক দেখা যাচ্ছে না। যতদিন না তারা নিজেদের ‘মানুষ’ বলে ভাবতে শিখবে, ততদিন এই হিংসা থামবে না।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির (Osman Hadi) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নতুন করে অস্থিরতা ও সহিংসতা দেখা দেয়। এই হিংসার রোষানলে পড়েন ভালুকার একটি কারখানার কর্মী দীপু দাস। একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কারখানায় হামলা চালিয়ে দীপুকে জোরপূর্বক বের করে পিটিয়ে হত্যা করে এবং পরে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই এবার সাংস্কৃতিক বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন রশিদপুত্র।