‘মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বিজেপি’, ধর্মীয় পরিসংখ্যান ও জনসংখ্যা ইস্যুতে কড়া আক্রমণ তৃণমূলের
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০৫: জনবিন্যাস ও ধর্মীয় পরিসংখ্যান নিয়ে বিজেপির সাম্প্রতিক দাবিকে ‘মিথ্যে প্রচার’ ও ‘ইচ্ছাকৃত শঠতা’ বলে নস্যাৎ করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আজ এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতির মাধ্যমে শাসকদল অভিযোগ করে, বিজেপি (BJP) রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ভুল তথ্য পরিবেশন করছে এবং বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূলের তরফে এদিন স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, বিজেপি বাংলা সম্পর্কে কেবল অজ্ঞই নয়, তারা সত্যের প্রতিও অ্যালার্জিক। বিজেপিকে বিঁধে তৃণমূলের প্রশ্ন, ১৯৫১ সালে ‘বাংলাদেশ’ নামক কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্বই ছিল না, তখন সেটি ছিল পূর্ব পাকিস্তান। আজকের বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক বাংলার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলাটা বিজেপির চূড়ান্ত অদক্ষতা অথবা সচেতন প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
পাশাপাশি, ২০২৫ সালের ধর্মীয় শতাংশ নিয়ে বিজেপি যে পরিসংখ্যান পেশ করছে, তার উৎস নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের যুক্তি, ভারতে শেষ জনগণনা বা আদমসুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে। তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিজেপি সরকার জনগণনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। শাসকদলের কটাক্ষ, “বাংলা-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাদের হাতে সময় থাকলেও, সংবিধান মেনে জনগণনা করার সময় নেই।” তাই ২০২৫-এর এই পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবি তাদের।
শতাংশের আড়ালে বিজেপি আসল জনসংখ্যাকে লুকিয়ে রাখছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তৃণমূল জানিয়েছে, ১৯৫১ সালে বাংলায় হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২.০৬ কোটি, যা ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৪৩ কোটিতে। অর্থাৎ হিন্দুরা বাংলা থেকে উবে যায়নি, তারা সসম্মানেই আছে। ঠিক তেমনই মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি-সব ধর্মের মানুষই বাংলায় সহাবস্থান করছে, যাদের বিজেপির ‘ঘৃণার অঙ্ক’ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, বিজেপি যা করছে তা জনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নয়, বরং সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডা। ভোটের স্বার্থে বাংলায় ভয় ও বিভাজন আমদানি করাই গেরুয়া শিবিরের এজেন্ডা। কিন্তু বাংলা সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং রাজ্যের মানুষ এই ঘৃণার রাজনীতি ও মনগড়া তথ্য প্রত্যাখ্যান করবে। শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে রাজ্যের শাসকদল বার্তা দিয়েছে-বিজেপি যদি সত্যিই তথ্যের পরোয়া করত, তবে আগে জনগণনা করত; আর যদি সম্প্রীতি চাইত, তবে ভয় দেখানো বন্ধ করত।
.@BJP4Bengal isn’t just ignorant — it is wilfully dishonest and allergic to true facts.
Fact check: There was no country called Bangladesh in 1951. It was East Pakistan. Mixing today’s Bangladesh with historical Bengal isn’t analysis — it’s either breathtaking incompetence or… https://t.co/LO8novPAcJ
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 25, 2025