‘শীঘ্রই দেশে অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর দিশা মিলবে’, বড়দিনে বার্তা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার
Authored By:
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৫০: নৈরাজ্য চলছে গোটা বাংলাদেশে। অশান্ত বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা। বড়দিনে সংখ্যালঘুদের দুর্দশা নিয়ে ফুঁসে উঠলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ বরাবরের সম্প্রীতির দেশ। এই অরাজকতা বেশিদিন সহ্য করবে না দেশবাসী। অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ইউনূসের ‘পুতুল’ সরকার ব্যর্থ।
বড়দিনে এক অডিওবার্তায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, “বাংলাদেশে আজ অমুসলিমদের অকত্য নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতির বাংলাদেশে আজ সংখ্যালঘুদের জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশের মানুষ এসব সহ্য করবে না। বড়দিন সব ধর্মের সম্প্রীতির বার্তা বয়ে আনবে।” তিনি আরও, “বর্তমানে যারা বেআইনিভাবে দেশের ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তাঁরা যেভাবে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে সেটা বেদনাদায়ক।” হাসিনার আশা, শীঘ্রই দেশে অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর দিশা মিলবে।
বাংলাদেশ এখন মৌলবাদীদের দখলে। সে দেশ এখন সংখ্যালঘুদের ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আক্রান্ত হতে হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। দীপু দাস হত্যাকাণ্ডে কেঁপে উঠেছে গোটা বিশ্ব। শুধু দীপু নন, বৃহস্পতিবার অমৃত মণ্ডল নামের আরও এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনার অভিযোগ, বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতির জন্য দায়ী বাংলাদেশে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে থাকা ইউনূস সরকারের ব্যর্থ নীতি।
মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী শাসনে নৈরাজ্য ছড়িয়েছে গোটা ওপার বাংলায়। সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষের আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। ছাত্র নেতা ওসমান হাদি হত্যার পরবর্তী সময়ে উত্তাল বাংলাদেশ। গণপিটুনি দিয়ে ময়মনসিংহে কারখানার শ্রমিক দীপুচন্দ্র দাসকে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংসতার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে আরও এক হিন্দু যুবককে। বুধবার রাজবাড়ির পাংশা উপজেলায় গণপিটুনির বলি হন জনৈক অমৃত মণ্ডল নামে ২৯ বছরের এক যুবক। দীপুচন্দ্রের পর আরও এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মারায় সংখ্যালঘুদের মনে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।