ইতিহাস ক্ষমা করবে না, মোদীকে বাজপেয়ীর বাক্য স্মরণ করালেন অভিষেক
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৪১: ২০০২ সাল গুজরাত জ্বলছে। গোদরা কাণ্ডের ক্ষত আজও তাজা। তদানিন্তন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী রাজধর্ম পালন করার বার্তা দিয়েছিলেন। সেদিনের ভিডিও আজও সমাজ মাধ্যমে খুঁজলে পাওয়া যায়। বাজপেয়ী সেই নিদান মোদীকে স্মরণ করালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
X পোস্টে অভিষেক লিখছেন, “ভারতের পরিবেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতার জোরে দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলি প্রকাশ্যে দলিত, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের আক্রমণ করছে। ধর্মের আড়ালে ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে, গণপিটুনি দিচ্ছে। যখন ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা অপরাধী হয় এবং হিংসার কারবারিদের পুরস্কৃত করে, তখন দায়মুক্তি নীতিতে পরিণত হয়। এটি শাসনব্যবস্থা নয়; এটি নৈতিক পতন। এই আক্রমণগুলি অসাংবিধানিক, অবৈধ এবং ভারতের ভিত্তি, আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য-কে ভেঙে দেয়। আজ নীরবতা হল জটিলতা। ইতিহাস একে ক্ষমা করবে না।” এর সঙ্গেই বাজপেয়ীর ভিডিওটি পোস্ট করেন তৃণমূলের সেনাপতি।
প্রসঙ্গত, ২০০২-র ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। ট্রেনের এস-৬ কোচের অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন অযোধ্যা থেকে ফেরা করসেবক। সেই ঘটনার পরই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাত জুড়ে। অভিযোগ, সরকারি মদতে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালায় সে রাজ্যের মুসলমানদের উপর। দাঙ্গার বলি হন হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। তিনিও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল। গুজরাত সরকারের তরফে গঠন করা হয় একাধিক কমিশনও। গোধরাকাণ্ডের তদন্তে গুজরাত সরকারের গঠিত নানাবতী-মেহতা কমিশন মত দিয়েছিল, ট্রেনে আগুন নিছক দুর্ঘটনা নয়, এর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র ছিল।