বদলে যাওয়া বাংলাদেশে এবার রক কনসার্টেও হামলা! ‘তৌহিদি জনতা’র তাণ্ডবে ভেস্তে গেল জেমসের কনসার্ট

December 27, 2025 | 2 min read

Authored By:

Saikat Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩০: ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সক্রিয়তা চেয়ে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার রাতভর বিক্ষোভ হল ঢাকায়। শনিবারও সারা দিন শাহবাগে অবস্থান করার কথা ঘোষণা করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যেরা। প্রয়োজনে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

অন্যদিকে আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশে এবার রক কনসার্টেও হামলা! যার জেরে পণ্ড রক তারকা জেমস ও তাঁর ব্যান্ডের অনুষ্ঠান। ফরিদপুর জেলা বিদ্যালয়ের ১৮৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। হামলায় বেশ ছাত্র-আয়োজক মিলিয়ে ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, হামলাকারীরা ‘বহিরাগত’।

আয়োজকদের দাবি, ফরিদপুর জেলা স্কুলের ১৮৫ বর্ষ উদ্‌যাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি কেবলমাত্র বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের জন্য ছিল। কিন্তু কয়েক হাজার বহিরাগত দর্শক সেখানে হাজির হয়ে যায়। কিন্তু তাদের ঢুকতে না দেওয়ায় অসন্তোষ বাড়তে থাকে। যদিও বাইরে দুটি প্রজেক্টর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তবুও গোলমাল শুরু হয়ে যায়। এরপরই দেওয়াল বেয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে অনেকে। কিন্তু বাধা পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাথর ছোড়া শুরু হয়। আহত হন ২৫ থেকে ৩০ জন! তবে শিল্পীর কোনও শারীরিক ক্ষতি হয়নি। তিনি ও তাঁর দলের সদস্যরা দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান। তবে আয়োজকরা যাই বলুন, ভিডিও আপলোড করে এক বাংলাদেশি যুবকের দাবি, যারা হামলা চালিয়েছিল তারা চায় না বাংলাদেশে কোনও সঙ্গীতানুষ্ঠান হোক। হামলাকারীরা আদপে জামাত সমর্থক বলে দাবি করেছেন অনেকেই।

লেখিকা তসলিমা নাসরিন ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করেন। তিনি লিখেছেন, ‘সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানট পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। উদীচী – যে সংগঠনটি সঙ্গীত, থিয়েটার, নৃত্য, আবৃত্তি এবং লোকসংস্কৃতির প্রচারের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল চেতনা লালন করার জন্য তৈরি হয়েছিল – তাও পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। আজ, জিহাদিরা বিখ্যাত গায়ক জেমসকে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে দেয়নি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen