SIR: চূড়ান্ত তালিকায় ভুল থাকলে তার দায় এড়াতে পারবেন না ইআরও
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:১৫: রাজ্যজুড়ে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে এসআইআরের শুনানি পর্ব। শুনানির জন্য রাজ্যজুড়ে ৩ হাজার ২৩৪টি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। মোট তিন থেকে চারজনের তত্ত্বাবধানে হবে হিয়ারিং। থাকবেন ইআরও, এইআরও, মাইক্রো অবজার্ভার। কোনও কোনও জায়গায় বিএলও সুপারভাইজারও। শুনানিতে কার্যত সিসি ক্যামেরার ভূমিকা পালন করবেন মাইক্রো অবজার্ভাররা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের বা কোনও আত্মীয়র নাম না থাকা ভোটার এবং কমিশনের খাতায় সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিতদের শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। আগেই এই ভোটারদের কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করে বুথ লেভেল অফিসারদের অ্যাপ মারফত তা আপলোডের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
কমিশনের আরও নির্দেশ ছিল, পাঁচদিনের মধ্যে ওই যাবতীয় নথি যাচাইয়ের কাজ সেরে ফেলতে হবে ইআরওদের। যাচাই পর্বে ভোটারদের থেকে প্রাপ্ত কোনও নথি সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে, সেগুলি পৃথক করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পরবর্তীতে সেই সন্দেহভাজন নথিগুলি নিয়ে শুনানি পর্বে ভোটারের থেকে উপযুক্ত উত্তর না মিললে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত করতে হবে ইআরওদের। এমনকি, দ্বিতীয়বারের জন্য ভোটারকে সুযোগ দিতে হবে। আর তারপরও সংশ্লিষ্ট ভোটারকে ‘অযোগ্য’ বলে মনে হলে তাঁর নাম বাতিল করতে পারবেন ইআরও। আর কেন ওই ভোটারকে অযোগ্য বলে বিবেচিত করা হল, সেই সমস্ত তথ্য লিখিতভাবে জানাতে হবে কমিশনকে। একইভাবে কোনও ভোটার কমিশন নির্ধারিত নথির মধ্যে যে কোনও একটি দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে, তাঁর নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট ভোটারের দেওয়া যে নথিকে ইআরও গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত করছেন, সেটি যে আইন অনুযায়ী যথোপযুক্ত, তাও ইসিআইনেটের মাধ্যমে লিখিতভাবে জানাতে হবে তাঁদের।
কমিশনের এহেনও নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, কোনও অযোগ্য ভোটার চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে ইআরওরা যাতে দায় এড়াতে না পারেন, সেজন্যই এমন নির্দেশিকা। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, একাধিক জীবিত ভোটার তালিকায় ‘মৃত’। এসব ক্ষেত্রে কমিশন বিএলওদের ঘাড়েই বন্দুক চাপিয়েছে। আর এবার এমন নির্দেশিকা জারি করে ইআরওদের বুঝিয়ে দেওয়া হল, চূড়ান্ত তালিকায় ভুল থাকলে তাঁরাও দায় এড়াতে পারবেন না।