কাগজের কোলাজেই হাতিবাগানের মণ্ডপ

এক ভাবনায় বাধা পেয়ে সে অন্যভাবে মেলে ধরেছে নিজেকে। ঠিক যেমনটি করেছেন শিল্পী সঞ্জীব সাহা। তাঁর শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় তাই অনন্য সৃষ্টির সাক্ষী থাকছে হাতিবাগান সর্বজনীন।

October 17, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিজয়া দশমীতে ‘আসছে বছর আবার হবে’ রব তুলেই পরের বছরের চিন্তাভাবনা শুরু করে দেয় কলকাতার পুজো কমিটিগুলি। সেই জন্যই প্রতি বছর দর্শনার্থীদের অনন্য উপহার দেওয়া সম্ভব হয়। গতবারের পুজোর পর থেকেও নানা সৃজনভাবনা ঘুরপাক খেয়েছে মাথায়। কিন্তু বছর ঘুরতে ঘুরতে বদলে গিয়েছে চারপাশের ছবিটা। আর সেই বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে শিল্পীকেও যেন তাঁর শৈল্পিক ভাবনায় লাগাম টানতে হয়েছে। তবে শিল্পের বিস্তার তো সর্বত্র। তাই তো কোনও বেড়াজাল মানেনি সে। এক ভাবনায় বাধা পেয়ে সে অন্যভাবে মেলে ধরেছে নিজেকে। ঠিক যেমনটি করেছেন শিল্পী সঞ্জীব সাহা। তাঁর শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় তাই অনন্য সৃষ্টির সাক্ষী থাকছে হাতিবাগান সর্বজনীন।

উত্তর কলকাতার পুজোর প্রাণকেন্দ্র হাতিবাগানে প্রতিবারই থাকে উপচে পড়া ভিড়। যেখানকার অন্যতম আকর্ষণের নাম হাতিবাগান সর্বজনীন। এবারও সেই মণ্ডপকে নিজের ভাবনা দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী। কোভিডবিধি মেনে তিনদিক খোলা প্যান্ডেলই তৈরি করা হচ্ছে। বাজেটে কাটছাঁট। তাই এবার কাগজকেই দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন শিল্পী। ফেলে দেওয়া ঠোঙা কিংবা খবরের কাগজও সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে, সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন শিল্পী। 

শুধু মণ্ডপই নয়, প্রতিমাও তৈরি হচ্ছে কাগজের মণ্ড দিয়েই। হ্যাঁ, ছোট-বড়-মাঝারি নানা মাপের কাগজে তিলে তিলে গড়ে উঠছে আট ফুটের দশভুজা। শিল্পী বলছিলেন, পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা মানুষ নতুন করে অনুভব করেছে। তাছাড়া করোনা আবহে খরচও কমানো সম্ভব হয়েছে। এবারের থিম ‘কাগজের কোলাজ’ তাই সবদিক থেকেই পরিবেশ উপযোগী হয়ে উঠেছে।

উৎসব দোরগোড়ায়। তাই মণ্ডপ তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীদের জন্যও থাকা-খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে পুজো কমিটি। ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তার কথায়, “স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ চলছে। সরকারি নির্দেশ মেনে আমরা তিনদিক খোলা প্যান্ডেলই করছি। তাছাড়া আমাদের মণ্ডপের উপরের অংশও খোলা থাকবে। দর্শনার্থীরা যাতে দ্রুত প্রতিমা দর্শন করে বেরিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য ছ’টি এক্সিট গেট করা হচ্ছে। মাস্ক পরে তবেই প্যান্ডেলে প্রবেশ করা যাবে। পুজো দেখতে বেরিয়ে মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। সবাই সতর্ক থাকলে তবেই সফলভাবে কাটানো যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen