যোগী রাজ্যে খাপ পঞ্চায়েতের ফতোয়া! কিশোরদের স্মার্টফোন নয়, হাফ-প্যান্টেও নিষেধাজ্ঞা
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩০: উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায় একটি খাপ পঞ্চায়েত সম্প্রতি সমাজে তথাকথিত ‘পাশ্চাত্য প্রভাব’ ও অবাঞ্ছিত অভ্যাস রুখতে একাধিক কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। পঞ্চায়েতের মূল লক্ষ্য—সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় করা।
পঞ্চায়েতের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, ১৮–২০ বছরের কম বয়সি কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছেলে ও মেয়ে—উভয়ের ক্ষেত্রেই হাফ-প্যান্ট পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের মতে, এই ধরনের পোশাক ও প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণ প্রজন্মকে পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
বিয়ের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে নতুন নিয়ম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিয়ে হবে গ্রাম বা বাড়ির মধ্যেই—ম্যারেজ হল ব্যবহারের অনুমতি থাকবে না। অতিথির সংখ্যাও সীমিত রাখা হবে এবং অতিরিক্ত খরচে রাশ টানার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে বিলি করার বদলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হয়েছে।
থাম্বা দেশ খাপের চৌধুরী ব্রজপাল সিং জানান, “সমাজের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। রাজস্থানের খাপ পঞ্চায়েত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমরাও একই পথে হাঁটতে চাই।” তাঁর মতে, অল্পবয়সি ছেলেদের ফোনের প্রয়োজন নেই; পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের সান্নিধ্যেই তাদের সঠিক শিক্ষা হওয়া উচিত।
ডাগাধ খাপের চৌধুরী ওমপাল সিং বলেন, বাড়িতে ফোন রাখা যেতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ দরকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। খাপ পঞ্চায়েত জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ জুড়ে এই নিয়ম কার্যকর করতে অন্যান্য খাপের সঙ্গে সমন্বয় করে সচেতনতা অভিযান চালানো হবে।