‘যতই করো হামলা, আবার জিতবে বাংলা’- ২৬শের ভোটকে পাখির চোখ করে নয়া স্লোগান ও লোগো প্রকাশ তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:১৫: বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার দলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হল নতুন নির্বাচনী স্লোগান ও লোগো। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবারের স্লোগান- ‘যতই করো হামলা, আবার জিতবে বাংলা’।
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল সমাজমাধ্যম হ্যান্ডেল থেকে এই নতুন লোগো ও স্লোগান জনসমক্ষে আনা হয়। প্রকাশিত লোগোতে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি স্থান পেয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নতুন এই প্রচার কৌশলের মাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে এককাট্টা করার এবং ‘ঐক্যবদ্ধ বাংলা’র বার্তা দিতে চাইছে জোড়াফুল শিবির।
স্লোগান-রাজনীতিতে তৃণমূলের মুন্সিয়ানা নতুন নয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন রাজ্যে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি ঘটেছিল, তখন ‘বহিরাগত তত্ত্ব’কে সামনে রেখে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগান তুলেছিল তৃণমূল। সেই স্লোগান নির্বাচনী ময়দানে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যবাসীর অধিকার রক্ষার ডাক দিয়ে ‘জনগণের গর্জন, বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জন’ স্লোগান বেঁধেছিল দল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এবার বিধানসভা ভোটের আগে নতুন স্লোগান বাঁধল ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এই লোগো নিছক কোনও ছবি নয়, এটি সাধারণ মানুষের ওপর শোষণ, অপমান ও ভয় দেখানোর রাজনীতির বিরুদ্ধে বাঙালির সম্মিলিত ক্ষোভের প্রতীক। বিজেপিকে ‘বাংলা-বিরোধী জমিদার’ বলে কটাক্ষ করে দলের সমাজমাধ্যম পেজে লেখা হয়েছে, “কোনও একটি ছবি হয়তো হাজার হাজার কথা বলে। কিন্তু এই ছবিটি একটিই বার্তা গর্জন করে যাচ্ছে- পশ্চিমবঙ্গ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেগে উঠবে। বিজেপিকে বিদায় জানাবে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আবার বাংলা জিতবে’ কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী (২ – ২৭ জানুয়ারি):
-
২ জানুয়ারি: দক্ষিণ ২৪ পরগনা
-
৩ জানুয়ারি: আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি
-
৬ জানুয়ারি: বীরভূম
-
৭ জানুয়ারি: উত্তর দিনাজপুর
-
৮ জানুয়ারি: মালদা
-
৯ জানুয়ারি: রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর (নদিয়া); বনগাঁ (উত্তর ২৪ পরগনা)
-
১০ জানুয়ারি: পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া
-
১২ জানুয়ারি: কলকাতা
-
১৩ জানুয়ারি: কোচবিহার
-
১৫ জানুয়ারি: তমলুক (পূর্ব মেদিনীপুর)
-
১৬ জানুয়ারি: মেদিনীপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর)
-
১৭ জানুয়ারি: জঙ্গিপুর ও বহরমপুর (মুর্শিদাবাদ)
-
১৮ জানুয়ারি: কৃষ্ণনগর (নদীয়া)
-
১৯ জানুয়ারি: বারাসত (উত্তর ২৪ পরগনা)
-
২১ জানুয়ারি: বিষ্ণুপুর (বাঁকুড়া)
-
২২ জানুয়ারি: হুগলি
-
২৪ জানুয়ারি: কাঁথি (পূর্ব মেদিনীপুর)
-
২৫ জানুয়ারি: পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব বর্ধমান
-
২৭ জানুয়ারি: হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া সদর