ভিনরাজ্যে বাংলা বলার ‘শাস্তি’! বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশায় ফের আক্রান্ত মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯.০০: বাংলায় কথা বলার অপরাধে ফের ভিনরাজ্যে নিগৃহীত এক পরিযায়ী শ্রমিক। ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে দুষ্কৃতীদের মারধরে গুরুতর আহত হলেন মালদহের বাসিন্দা আতিউর রহমান। বর্তমানে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবককে ঘিরে চরম উদ্বেগে পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার শোভাপুর পারদেওনাপুর এলাকার বাসিন্দা আতিউর রহমান ওড়িশার সম্বলপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। অভিযোগ, বাংলায় কথা বলার কারণেই তাঁকে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় আতিউরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর এক সহকর্মী। পরে সহকর্মীরাই তাঁকে মালদহে ফিরিয়ে আনেন।
আতিউরের বাবা আমির হোসেন জানান, গত তিন বছর ধরে ছেলে ওড়িশায় কাজ করছিল। তিনি বলেন, “যেভাবে মারধর করা হয়েছে, তাতে ওর স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা সম্ভব হবে কি না, বুঝতে পারছি না।”
উল্লেখ্য, বিজেপি-শাসিত ওড়িশায় গত কয়েক মাসে একের পর এক বাঙালি নিগ্রহের অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি একই জেলায় বাংলাদেশি সন্দেহে খুন হন পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রানা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বাংলা ভাষা বলা কোনও অপরাধ নয় এবং নিগৃহীত বাংলাভাষী পরিবারগুলোর পাশে রাজ্য সরকার রয়েছে। জুয়েল রানার ঘটনায় ইতিমধ্যেই জিরো এফআইআর, গ্রেপ্তার এবং তদন্তে ওড়িশায় রাজ্য পুলিশের দল পাঠানো হয়েছে।
বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে—ভাষার পরিচয়ই কি আজ পরিযায়ী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় বিপদ?