হাদির খুনিরা পালিয়ে এসেছে ভারতে, ইউনূসের দাবি খারিজ করে কী জানাল BSF ও মেঘালয় পুলিশ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৪০: ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে কার্যত উত্তাল বাংলাদেশ। এখনও হাদির খুনিদের ধরতে পারেনি বাংলাদেশ পুলিশ। ইনকিলাব মঞ্চ চাপ বাড়াচ্ছে, এই অবস্থায় নিজেদের ব্যর্থতার দায় ঝেড়ে ফেলতে ভারতকে কাঠগড়ায় তুলতে চেয়েছিল ইউনূস প্রশাসন। তাদের দাবি, ভারতে পালিয়েছে হাদির খুনিরা। সেই দাবি খারিজ করল মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ।
রবিবার বাংলাদেশ পুলিশের বিবৃতির পর পালটা বিবৃতি দিয়েছে ভারত। জানানো হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের কিছু সংবাদ মাধ্যমের মিথ্যে ও কাল্পনিক গল্প প্রচার করে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এ ধরনের মিথ্যে সংবাদের জেরে সীমান্তবর্তী রাজ্য মেঘালয়ের শান্তি, স্থিতিশীলতা বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’’ মেঘালয় পুলিশের তরফেও বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “বাংলাদেশ পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের দেওয়া হয়নি। সরকারি বা মৌখিকভাবেও বাংলাদেশ পুলিশ এবিষয়ে আমাদের কিছুই জানায়নি। এমন কোনও অভিযুক্তকে এপারে এসেছে বলে মেঘালয় পুলিশের কাছেও কোনও তথ্য নেই। কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।”
প্রসঙ্গত, ঢাকা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম আজ দুপুরে জানিয়েছিলেন, “হাদিকে গুলি করার পরে কয়েকবার গাড়ি বদল করে, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফয়জল এবং আলমগির ময়মনসিংহ সীমান্তে পৌঁছয়। সেখান থেকে হালুয়াঘাট সীমান্ত পেরিয়ে তারা ভারতে ঢোকে। সেখানে পূর্তি নামে এক ব্যক্তির সাহায্যে সীমান্ত এলাকা পার করে দু’জন। তারপর সামি নামে এক ট্যাক্সিচালকের গাড়িতে চেপে মেঘালয়ের তুরাতে পৌঁছয় ফয়জল এবং আলমগির।” শুধু তাই নয় আরও দাবি করা হয়, পূর্তি এবং সামিকে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’জনের ভারতীয় নাগরিকত্ব রয়েছে বলেও দাবি ঢাকা পুলিশের। বাংলাদেশ পুলিশের সেই দাবিও খারিজ করে দিয়েছে বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ।