শুনানিতে বৃদ্ধ, অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বাদের হেনস্থার অভিযোগ, সোমে CEO অফিসে যাচ্ছে তৃণমূল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৪৫: SIR-র শুনানি পর্ব চলছে। দীর্ঘদিনের ভোটার হওয়া সত্ত্বেও বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা নোটিশ পেয়েছেন। বাধ্য হয়ে শুনানি কেন্দ্রে পৌঁছেছেন অনেকে। নাম কাটার ভয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করেও হাজির হচ্ছেন মানুষজন। শুনানির নামে আম জনতাকে এভাবে হেনস্তার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, হেনস্তার প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার সকালে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
হুগলিতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের (ভূমি এবং ভূমি সংস্কার) দপ্তরে শুনানিকেন্দ্র খোলা হয়েছে। রবিবার সেখানে গিয়েছিলনে প্রবীণ গৌরী মান্না। লাঠি নিয়ে কোনও রকমে চলাফেরা করেন। সেই বৃদ্ধাকেও নথি যাচাই করানোর জন্য যেতে হয় শুনানিকেন্দ্রে। ছেলে প্রসেনজিৎ মান্নাকে সঙ্গে নিয়ে টোটোয় চেপে কোনও ক্রমে এসে পৌঁছেছেন অতিরিক্ত জেলাশাসকের দপ্তরে। ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল তাঁর। ইনহেলার ছাড়া এক মুহূর্তেও চলতে পারেন না বৃদ্ধা। অসুস্থ মায়ের এমন হয়রানি দেখে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বৃদ্ধার পুত্র। ৮০ বছরের সুষেনকুমার রায়চৌধুরীকেও শুনানিতে হাজির হতে হয়েছিল। ভাঙা পা আর কোমর নিয়ে কোনও রকমে তিনি হাজির হন। এখন তাঁর বুকে পেসমেকার বসানো। চোখেও ঠিকঠাক দেখতে পান না, গ্লুকোমা হয়েছে। তাঁরও রেহাই মেলেনি।
এমন তীব্র ঠান্ডায় কলকাতার চেতলা গার্লস স্কুলের শুনানি কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় এক ৯০ বছরের বৃদ্ধকেও।
বৃদ্ধদের হেনস্তার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের এভাবে হেনস্তা বরদাস্ত করব না। তৃণমূলের তরফে আগামিকাল প্রতিনিধিদল যাবে কমিশনে।” অভিষেকের প্রশ্ন, “দেশের মধ্যে একমাত্র তৃণমূল এর প্রতিবাদ করেছে। যদি প্রবীণদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা থাকে তাহলে কেন হিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে তা হবে না?” প্রসঙ্গত, শনিবার সিইও দপ্তরে গিয়ে বৃদ্ধদের হেনস্তার প্রতিবাদে চিঠি দেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। শুনানির দ্বিতীয় দিনেও হয়রানির ছবি দেখা গেল সর্বত্র। অসুস্থ এবং প্রবীণেরা এসে লাইন দিয়েছেন শুনানিকক্ষের বাইরে, এমন দৃশ্য দেখা গেল গোটা রবিবার। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বয়স্ক ভোটারেরা এবং তাঁদের পরিজনরা।