বাংলায় কথা বলায় মহারাষ্ট্রে গ্রেপ্তার, তৃণমূলের উদ্যোগে মুক্ত দুই পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে অভিষেকের সাক্ষাৎ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:২৪: বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে বাংলার দুই পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। রাজ্যে ফেরার পর দুই পরিযায়ী শ্রমিক অসিত সরকার ও গৌতম বর্মণের সঙ্গে রবিবার দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জানা গিয়েছে, দুই শ্রমিকই বালুরঘাটের বাসিন্দা। স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ। তৃণমূলের উদ্যোগে ঘরে ফিরেছেন তাঁরা। কী ঘটেছিল তা শুনে, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক।
বালুরঘাটের বাসিন্দা অসিত সরকার ও গৌতম বর্মন মুম্বইতে শ্রমিকের কাজ করতেন। চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলা বলার অপরাধে অবৈধ অভিবাসী আইনে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গৌতম বর্মনের স্ত্রী স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, তাতে কোনও লাভ হয়নি। সুকান্ত কোনও পদক্ষেপ করেননি। পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল। তৃণমূল ও দলীয় সাংসদ সামিরুল ইসলামের উদ্যোগে ঘরে ফিরেছেন দুই শ্রমিক। রবিবার তাঁরা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের।
দু’জনের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে। আইনত তাঁরা বাংলার বৈধ ভোটার। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয়, গৌতম বর্মন নিজেই বিজেপির বুথ সভাপতি তবুও পর তাঁর স্ত্রী যখন সাহায্যের জন্য বালুরঘাট সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দপ্তরে যোগাযোগ করেন, সেখান থেকে কোনও উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করেছে তৃণমূল।
রবিবার তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘‘দু’জনেরই বাড়ি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সংসদীয় এলাকায়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়েও মানবিক কারণে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ দেখা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেন, তাঁদের পরিস্থিতি শোনেন এবং পরিবারগুলির প্রতি সাহায্যের আশ্বাস দেন।’’
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস ধরে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। জেল বন্দি, এমনকী বাংলাদেশে ডিপোর্ট পর্যন্ত করার হয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভাষা আন্দোলনে’র সূচনা করেছেন তিনি।