ভাইপোর মানভঞ্জন! অজিত-শরদ এক জোট, মহারাষ্ট্রে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৩০: ফাটল ধরেছিল আগেই কিন্তু প্রকাশ্যে এল মহারাষ্ট্রে। আপাতত ইন্ডিয়া জোট নেই দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে। ঠাকরে পরিবারের দুই ভাই হাত মিলিয়েছেন আগেই। এবার ২০২৫-র শেষ লগ্নে দূরত্ব ঘুচল কাকা-ভাইপোর। ২০২৬-এ পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়েতে ২৯টি পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোট একজোট হয়ে লড়বেন শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার। রবিবার এই ঘোষণা করেছেন খোদ অজিত। তিনি বলেন, তাঁদের ফের পরিবার এক হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেশকদের একাংশের মত, কাকা-ভাইপোর জোটে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে হাওয়া বদলের আভাস মিলছে।
১৫ জানুযারী পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ে পুরসভার নির্বাচন। এটিই মহারাষ্ট্রের অন্যতন ধনী পুরসভা। প্রচারে গিয়ে সম্প্রতি অজিত বলেন, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার সময় দুই শিবির একজোট হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মহারাষ্ট্রের উন্নতির স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আপাতত তাঁরা এক হয়েছি। দাবি, শুধুমাত্র পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ে পুরসভা নির্বাচনেই জোট বাঁধছেন তাঁরা। অন্য নির্বাচনে তাঁরা আলাদা লড়বেন। যদিও শোনা যাচ্ছে, পুনের পুরসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২ জুলাই কাকা শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন অজিত। একনাথ শিন্দের শিবসেনা এবং বিজেপির জোট সরকারের শরিক হয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত। ভেঙে যায় এনসিপি। অধিকাংশ বিধায়কই শরদকে ছেড়ে অজিতের হাত ধরেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এনসিপির নিয়ন্ত্রণ পান অজিত। কমিশনের নির্দেশে শরদের দলের নাম হয় এনসিপি (শরদ পাওয়ার)। নির্বাচনী প্রতীকও বদলে যায়। ঘড়ির বদলে শরদকে দেওয়া হয় নতুন প্রতীক, তুতারি। যা মহারাষ্ট্রের একটি বাদ্যযন্ত্র। ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে শরদই হন কিং মেকার। ৮টি আসনে জেতে তাঁর দল। অজিতের দখলে যায় মাত্র কটি আসন। কিন্তু বিধানসভা ভোট আবার মুখ থুবড়ে পড়ে শরদের এনসিপি।
মহারাষ্ট্র সরকারে অজিতকে নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। শিন্দে শিবির অখুশি। বিজেপির অনেক নেতা-মন্ত্রীও অজিতের বিরুদ্ধে। এমন পর্যায়ে পুরসভা ভোটে কাকা-ভাইপোর একসঙ্গে লড়ার ঘোষণা রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহারাষ্ট্রে কি নতুন কোনও পটপরিবর্তন দেখা যাবে?