ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা! পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তায় হেল্পলাইন চালু করল রাজ্য
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:১৫: রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (SIR) দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। এই পর্যায়ে ‘আনম্যাপড’ ভোটারদের নিয়ে শুনানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আর এখানেই ভিন্ রাজ্যে কর্মরত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant worker) নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রাজ্যের শ্রমিকদের এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ (West Bengal Labour Welfare Board)। সোমবার পর্ষদের তরফে শ্রমিকদের সুবিধার্থে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর (Helpline number) ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (WhatsApp number) চালু করা হয়েছে।
সোমবার পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চার্চ লেনের দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনও বৈধ ভোটার যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়েন। সেই কথা মাথায় রেখেই ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিকদের সমস্যা দূর করতে এই উদ্যোগ।
সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘তাঁদের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে আমরা একটি হেল্পলাইন নম্বর এবং একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছি। এসআইআর নিয়ে তাঁরা কোনও সমস্যায় পড়লে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করব।’’ পর্ষদের দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৮০০-১০৩-০০০৯ এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৭৬০৩০৯১২২। পর্ষদ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সরকারের তালিকায় নথিভুক্ত প্রায় দু’লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে (Migrant worker) ফোন বা এসএমএস (SMS) মারফত এই বার্তার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে শুনানির সময় সশরীরে উপস্থিত থাকার বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি শাসকদল তৃণমূলের (TMC)। দলের যুক্তি, শুনানির জন্য শ্রমিকদের যদি রাজ্যে ফিরে আসতে হয়, তবে সেই যাতায়াতের খরচ কে বহন করবে? এই প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল শুনানির দাবিও তোলা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যদি ভার্চুয়াল শুনানি হতে পারে, এমনকি রানাঘাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যদি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান করতে পারেন, তবে ভোটারদের শুনানি কেন ভার্চুয়ালি হবে না? কমিশনের নোটিশে সশরীরে হাজিরার কথা নির্দিষ্ট করে লেখা নেই, তাই হাজিরা বাধ্যতামূলক নয় বলেই মনে করছে শাসকদল।
প্রসঙ্গত, রবিবারই দলের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞপ্তিতে সশরীরে উপস্থিতির কথা বলা হয়নি। তাই শ্রমিকদের হাজির হতে হবে না। কিন্তু বাড়তি সতর্কতা হিসেবে বাংলার কোনও পরিযায়ী শ্রমিক যাতে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতেই এই সক্রিয় পদক্ষেপ নিল পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ ও তৃণমূল কংগ্রেস।