বর্ষবরণের আগে ১১ ডিগ্রিতে নামল পারদ, মরসুমের শীতলতম দিন শহরে

December 31, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৮:৩০: চলতি মরসুমের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিল বছরের শেষ দিনের শীত। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপছে তিলোত্তমা। মঙ্গলবারকে টেক্কা দিয়ে বুধবার ভোরে এক ধাক্কায় কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা নেমে গেল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে! আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এটিই এই মরসুমের শীতলতম দিন। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে বছরের শেষ দিনটিকে বিদায় জানাচ্ছে শহর ও শহরতলি।

মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা আরও ১.৬ ডিগ্রি কমে ১১ ডিগ্রিতে এসে দাঁড়িয়েছে, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় ২.৮ ডিগ্রি কম। এমনকি দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা নিচে অবস্থান করছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সকালের দিকে শহর ও শহরতলিতে ঘন কুয়াশা থাকলেও, দুপুরের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার ও মেঘমুক্ত হবে। তবে ভোরের দিকে দৃশ্যমানতা কম থাকায় যান চলাচলে কিছুটা সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পথে এই মুহূর্তে কোনও বাধা নেই। ফলে বাধাহীনভাবে উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করছে এবং শীতের দাপট বাড়াচ্ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের শীত অনেকটাই বেশি জাঁকিয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলছেন, শেষ কবে এমন হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছিল, তা চট করে মনে করা কঠিন।

দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের (North Bengal) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলিতে বিকেলের দিকেই কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যে নেমে যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদহ, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে এই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা নতুন বছরেও বজায় থাকবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আগামী কয়েক দিনে পারদ ২ থেকে ৩ ডিগ্রি চড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen