Delhi AQI: ঘন কুয়াশা ও দূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, সকালে দৃশ্যমানতা শূন্য, বাতিল ১৪৮টি উড়ান
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩৫: দীপাবলির পর থেকেই রাজধানীর বাতাস বিষাক্ত। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে ঘন কুয়াশা (Fog)। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে দমবন্ধ পরিস্থিতি দিল্লির। বুধবার সকালে কুয়াশার চাদরে এতটাই ঢেকে যায় শহর যে দৃশ্যমানতা কার্যত শূন্যে নেমে আসে। দূষণ ও কুয়াশার জেরে জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বুধবার সকালে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সংলগ্ন এলাকায় দৃশ্যমানতা শূন্যে পৌঁছানোয় বিমান পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১৪৮টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে এবং দু’টি উড়ানের অভিমুখ পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধু আকাশপথই নয়, রেল ও সড়ক যোগাযোগও ভেঙে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে বহু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে চলছে। দৃশ্যমানতা (Visibility) কম থাকায় সাতসকালেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে রাস্তায় গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন চালকরা।
অন্যদিকে, দূষণের মাত্রা সামান্য কমলেও তা এখনও ‘মারাত্মক’ (Severe) শ্রেণিতেই রয়েছে। বুধবার দিল্লির গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮৮, যা সোমবারের ৪০১-এর তুলনায় সামান্য কম। তবে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, স্বস্তির কোনও আশা নেই। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকলেও, ২ জানুয়ারি থেকে দূষণের মাত্রা ফের ‘অতি মারাত্মক’ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। আগামী ৬ দিন পরিস্থিতির উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে দিল্লি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ‘ক্লাউড সিডিং’ বা কৃত্রিম বৃষ্টির ট্রায়ালের জন্য প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ করা হলেও, কার্যত কোনও বৃষ্টিই হয়নি। বরং দূষণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। প্রশাসন জল স্প্রে করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কিরণ বেদি রাজধানীর এই অবস্থাকে কোভিডের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, এই বিষাক্ত বাতাস শিশু ও বয়স্কদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মধ্যে চোখ জ্বালা, ক্রমাগত কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে, নতুন বছরের শুরুতেও দিল্লিবাসীর জন্য ‘বিষবাতাস’ থেকে মুক্তির কোনও সুখবর নেই।
#WATCH | Dense fog engulfs parts of Delhi-NCR. Visuals from Delhi’s Anand Vihar. pic.twitter.com/OYDClY9b7F
— ANI (@ANI) December 31, 2025