দেশ বিভাগে ফিরে যান

ফেব্রুয়ারিতেই কমে যাবে করোনা

October 19, 2020 | 2 min read

গা-ছাড়া দিলেই সর্বনাশ! অক্টোবরেই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে পারে ২৬ লক্ষ। তবে, সামান্য সচেতন হলে কোভিডের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া সম্ভব। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাগে চলে আসবে কোভিড-১৯ ভাইরাসের দুরন্তপনা। এমনটাই জানিয়ে দিল কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি। যদিও আতঙ্ক যে একেবারে উবে যাবে, এমনটা নয়। অল্পসংখ্যক মানুষের সংক্রমণ হবে। কিন্তু ছড়িয়ে পড়বে না ব্যাপক হারে।

করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ‘কোভিড-১৯ সুপারমডেল কমিটি’ তৈরি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। নেতৃত্বে হায়দরাবাদ আইআইটির অধ্যাপক এম বিদ্যাসাগর। কমিটির দু’জন সদস্যই কলকাতার বিশেষজ্ঞ। তাঁরা হলেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক অরূপ বসু এবং শঙ্কর পাল। লকডাউন নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তা ভালোই কাজে এসেছে। এবার থেকে প্রয়োজন শুধু বিধিনিষেধ মেনে চলা। তা হলে আর নতুন করে লকডাউনের প্রয়োজন নেই। অভিমত বিশেষজ্ঞ কমিটির। সেই সঙ্গে তাদের পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ নাগরিকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।

নোভেল করোনা ভাইরাসের মিউটেশন নিয়ে এতদিন ‘নানা মুনির নানা মত’ ছিল। তবে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন দাবি করেছেন, ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও মিউটেশন হয়নি। ভাইরাস ছড়ায় না খবরের কাগজ। ভ্যাকসিন নিয়েও ফের আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘করোনার ভ্যা঩কসিন তৈরিতে জোর দেওয়ার পাশাপাশি ইউনিসেফের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ বিতরণের টার্গেট নেওয়া হয়েছে।’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দেশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কোথাও কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণ হলেও হতে পারে। তবে সার্বিকভাবে তা হয়নি।

ভারত সহ গোটা বিশ্বে এখন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে। ডিসেম্বরে ইউরোপে নাকের মধ্যে স্প্রে করেও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হবে। যাকে বলা হচ্ছে, ইন্ট্রানেজাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে এই পদ্ধতি প্রাণীদেহে সফল হয়েছে। এবার ভারতে মানবদেহে তার ট্রায়াল শুরুর অনুমোদন চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে চলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক।

এদিকে, দেশে আক্রান্তের হার ক্রমেই কমছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতি ১০০ জনে এখন করোনা পজিটিভের সংখ্যা মাত্র ৭.৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গ সহ ১০টি রা঩জ্যে ৭৯ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যদিও কেরলের ওনাম উৎসব থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোয় মানুষকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার কঠোর বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#coronavirusinindia, #covid-19

আরো দেখুন