হাই কোর্টের রায়ে চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারা
হাই কোর্টের রায়ের পর চরম বিপাকে পড়ে গিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রস্তুতি সব সম্পূর্ণ। কিন্তু এখন তারা কী করবেন, তা নিয়েই চিন্তিত সকলে। আদালতের রায়, ফলে উদ্যোক্তারা কথাও বলছেন অনেক মেপে মেপে। তবে কলকাতার বেশ কিছু পুজো আগেই দর্শকদের জন্য মণ্ডপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাঁরা এদিন আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
করোনা আবহে দুর্গাপুজো হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। সরকারি অনুমতি পাওয়ার পর প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে কলকাতার বেশকিছু পুজো এবার উলটোপথে হেঁটেছিল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, বেহালার দেবদারু ফটক জানিয়েছিল, পুজো করলেও দর্শকদের জন্য মণ্ডপের দরজা বন্ধ। এদিন হাই কোর্টের রায়দানের পর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের তরফে জানানো হয়, “হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। সেরার সেরা উপাধি পাওয়ার লড়াই হবে আগামী বছর। এবছরের পুজো হোক মানবতার। সমস্ত পুজো প্রেমী মানুষের কাছে আবেদন এ বারের পুজোটা হোক পাড়ার, এবছরের পুজোটা হোক একাত্মতার।”
মেদিনীপুর শহরের বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকেই বলেছেন, তাদের কী কী করণীয় হবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসা হবে। আলোচনার পর জানানো হবে সিদ্ধান্ত। মেদিনীপুর সদরের মহকুমা শাসক দীননারায়ন ঘোষ অবশ্য বলেছেন, আদালতের রায়ের অনেক আগে থেকেই তারা শহরবাসীকে ভারচুয়াল পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করে রেখেছেন। অঞ্জলি থেকে ঠাকুর দর্শন ও প্রতিমা নিরঞ্জন লাইভ দেখানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে চলার জন্য তিনি সাধারন মানুষের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন।
সোমবারই আদালত রাজ্যের সমস্ত পুজোমণ্ডপকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে একপ্রকার দর্শকশূন্য পুজো করার নির্দেশ দিয়েছে। পুজোমণ্ডপে কোনও দর্শক প্রবেশ করতে পারবে না। কেবলমাত্র পুজো উদ্যোক্তাদের ১৫ থেকে ২৫ জন প্রবেশ করতে পারবে। সমস্ত পুজো মণ্ডপের সামনে নো এন্ট্রি বোর্ড লাগাতে হবে। করোনা সংকটকালে পুজোয় ভিড়ের আশঙ্কা করেই বিচারপতিরা এই রায় দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু আদালতের রায় ঘোষণার পরই ফাঁপরে পড়ে গিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। এত কম সময়ে তারা দর্শকশূন্য পুজোর পরিকল্পনা কীভাবে করবেন তা নিয়েও চিন্তিত তারা। মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি পুজো কমিটির সহ সভাপতি সুশান্ত ঘোষ, বিধাননগর পুজো কমিটির কর্মকর্তা বিদ্যুৎ ভট্টাচার্যরা বলেছেন, “হঠাৎ মানুষজন চলে এলে তারা তা সামলাবেন কীভাবে, তা নিয়েই চিন্তিত তারা। তাঁদের কথায়, আদালতের রায় তো মেনে চলতেই হবে। বিকল্প ব্যবস্থাও ভাবছেন তারা। প্রয়োজনে মণ্ডপে ঢোকার প্রবেশপথ বন্ধ করে মণ্ডপের বাইরে একাধিক এলইডি টিভি বসানোরও ভাবনা চিন্তা করছেন তারা।