জেনে নিন সন্ধিপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পৌরাণিক কাহিনী
অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধি পুজো হয়ে থাকে ৷ আরও নিদিষ্ট করে বলতে হলে অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট সময়ের মধ্যে সন্ধি পুজো সাঙ্গ করতে হয়৷ দুর্গাপূজায় এই সময়টার একটা বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
পুরাণ অনুসারে অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধের সময়ে দেবী অম্বিকার কপালে থাকা তৃতীয় নেত্র থেকে দেবী কালিকা প্রকট হয়েছিলেন ঠিক এই সময়কালেই। আবার অন্যত্র এমনটাও বলা হয়ে থাকে, পরাক্রমী অসুর রক্তবীজের সমস্ত রক্ত এই সন্ধি মুহূর্তেই দেবী চামুণ্ডা কালিকা খেয়ে ফেলেছিলেন।
তাই পণ্ডিতদের ব্যাখ্যায়, এই সন্ধিক্ষণ চলাকালীন সময়ে মা দুর্গার অন্তর থেকে সমস্ত স্নেহ, মমতা অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই কারণেই সন্ধি পূজার সময়ে দেবীর দৃষ্টি পথ পরিষ্কার রাখা হয়, চামুণ্ডা দুর্গার চোখের সামনে দাঁড়াতে নেই।
অনেক জায়গায় এই সন্ধিপূজার সময় বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। কোথাও ছাগল বলি হয়, যেখানে তা হয় না সেখানে কলা, আঁখ, চালকুমড়ো ইত্যাদিও বলি দেওয়া হয়। সন্ধিপুজোর এই বলি দান অষ্টমী তিথিতে হয় না, তা হয় সন্ধি পুজোর প্রথম দণ্ড অর্থাৎ ২৪ মিনিট পার হওয়ার পরেই।
ঘ ৩/৩৫/ ১ থেকে অপরাহ্ণ ঘ ৪/২৩/১ সেকেন্ডের মধ্যে সন্ধিপূজা।