শুভ মহানবমী
নবমী মানেই মায়ের সাথে শেষ দিন। পরদিনই মায়ের শ্বশুর বাড়ি ফেরার পালা। নবমী অনেক আনন্দের মাঝেও নিয়ে আসে এক চাপা কষ্ট, বিষণ্ণতা।
কিন্তু বাতাসে পুজোর গন্ধটাতো থেকেই যায়। দিন শুরু হয় একরাশ আনন্দ দিয়ে, বাকি দিনগুলোর মতোই। এই দিনই মানুষ সবচেয়ে বেশি পরিমানে ঠাকুর দেখতে বেরোয়।
ধুনুচি নাচ
এই দিনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সন্ধ্যে বেলায় ধুনুচি নাচ। সন্ধ্যে বেলায় আরতীর মাধ্যমে শুরু হয় সন্ধ্যের পুজো। দুর্গা পুজোয় সবচেয়ে মজার বিষয়টিই হল ধুনুচি নাচ। ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ যেন পুরো পুজোটাকেই আরো বেশি করে সার্থক করে তোলে। ভালো ধুনুচি নাচ সত্যিই একটি উপভোগের বিষয়। বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ধুনুচির আগুনকে ঘোরানো দেখা এক টান টান অনুভূতি।
সাধারণত সাবেকী বাঙালি পোশাকেই এই নাচ পরিবেশন করা হয়। বিভিন্ন প্যান্ডেলে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগীতাও হয়। আর প্রতিযোগীদের মাঝের মিষ্টি শত্রুতা যেন পুজোর আমেজকে দ্বিগুণ করে তোলে। হয় ঢাকিদের প্রতিযোগীতাও। আর সাথে থাকে সুন্দর সুন্দর পুরস্কারও।
বাংলার বাইরে এইদিনটিতে ডান্ডিয়া খেলা হয়। গুজরাটি এই নাচ এখন গোটা দেশেই বেশ জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক ব্যবসায়িক প্রচার রয়েছে। ব্যবসায়িক কারণেই মূলত ডান্ডিয়া এবং গারবাকে এতো জনপ্রিয় করে তোলা হয়েছে। ধুনুচি নাচেরও ব্যবসায়িকভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার একই রকম ক্ষমতা আছে।
পুজোর আনন্দ অব্যহত
রাস্তায় যেন এদিন জনসমুদ্র বয়ে যায়। প্যান্ডেলে ঢুকতে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। এই দিনই সবটা আনন্দ উপভোগ করে নেওয়ার দিন। কারণ এরপর একটিই মাত্র দিন বাকি থাকে।