আরও ২ লক্ষ কৃষক এলেন বাংলা শস্যবিমার আওতায়

খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকারের ‘বাংলা শস্যবিমা’ প্রকল্পে অংশ নেওয়া কৃষকের সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়ল

October 24, 2020 | 2 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi

খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকারের ‘বাংলা শস্যবিমা’ প্রকল্পে অংশ নেওয়া কৃষকের সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়ল। কৃষি দপ্তরের কাছে যে চূড়ান্ত রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে, তাতে দেখা যাচেছ, এবারের খরিফ মরশুমে প্রায় ৬৭ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। যা গতবারের তুলনায় প্রায় ২৩ লক্ষ বেশি। ৩০ সেপ্টেম্বর সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ৬৫ লক্ষ কৃষকের পরিসংখ্যান কৃষি দপ্তরের কাছে আসে। বিভিন্ন জেলা থেকে শেষ সময়ে নথিভুক্ত করা কৃষকদের চূড়ান্ত তথ্য আসার পর এই সংখ্যা আরও দু’লক্ষ বেড়েছে।


যাতে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক শস্যবিমার সুবিধা নিতে পারেন, তার জন্য দু’দফায় সমসয়সীমা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক নাম নথিভুক্ত করাতে পেরেছেন। আগস্ট মাসে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৮ লক্ষ। সরকারি হিসেবে রাজ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর মোট কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৭২ লক্ষ। জমির মালিক ছাড়াও ভাগ চাষি ও জমি ভাড়া নিয়ে চাষ করেন, এমন কৃষকরাও বাংলা শস্য বিমার আওতায় এসেছেন। সব কৃষককে শস্যবিমার আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল সরকারের। দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি কৃষক শস্যবিমার আওতায় চলে এসেছেন।

জমির নথিতে গোলমাল বা কাগজপত্র ঠিকমতো না থাকা কিংবা অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে চাষ করার ক্ষেত্রে যে সব নথি লাগে, তা সঠিক না থাকায় কিছু চাষি শস্যবিমার আসতে পারলেন না বলে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন। আগামী খরিফ মরশুমে এই উপভোক্তার সংখ্যা আরও বাড়াতে উদ্যোগ নেবে কৃষি দপ্তর। খরিফ মরশুমে ধান, পাট, ভুট্টার উপর চাষিরা কোনও প্রিমিয়াম না দিয়েই শস্যবিমা করতে পারেন। এর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ চাষি আমন ধানের উপর বিমা করিয়েছেন। গত বছর কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রকোপে মাঠে থাকা ফসলের বিশেষ করে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বিমা সংস্থা তার জন্য মোট প্রায় ৩২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে চাষিদের। এবার প্রথম ফসলের ক্ষতি নির্ধারণে ‘ইসরোর’ উপগ্রহ চিত্রের সাহায্য নেওয়া হবে। ফলে ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে বলে কৃষি দপ্তর আশা করছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen