রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অঞ্জলি উতরে গেলেও দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ভিড়

October 25, 2020 | 2 min read

একে মহাষ্টমীর অঞ্জলি, তার উপর তুলনায় ঝলমলে আকাশ। ফলে শনিবার, পথে-ঘাটে-মণ্ডপে ভিড় বাড়বে তা আঁচ করাই গিয়েছিল। তবে অঞ্জলির সময়ে দূরত্ব রক্ষার চেষ্টা চোখে পড়েছে বেশির ভাগ বড় পুজোয়। ছোটখাটো পুজোর ক্ষেত্রে নিয়ম মানার অত বালাই ছিল না। অষ্টমীর বিকেল, তবু গড়িয়াহাট চত্বরে পুলিশ-পাহারায় মসৃণ যান চলাচল কবে দেখা গিয়েছে, মনে করা সম্ভব নয়, বলছেন লালবাজারের কর্তারা। তবু মানুষের বাইরে বেরোনোর প্রবণতায় নবমীর জন্য ভালই উদ্বেগ থাকছে। টালাপার্কের পুলিশ আবাসন লাগোয়া রাস্তায় ভিড় বাড়ার প্রবণতা পুলিশকে উদ্বেগে রেখেছে। ওই পথ ধরেই জনতাকে এলাকায় শহরের নামী পুজো দেখানোর বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। তবে লোকের ঠাসাঠাসি কমাতে শনিবারও ভিড়কে বের করার রাস্তা পাল্টায় পুলিশ। পুজো নিয়ে উৎসাহ চোখে পড়েছে বেহালার দিকেও। হাইকোর্টের নির্দেশে কিছুটা ফল মিললেও নবমীতে ঢিলেমির জায়গা নেই বলেই মনে করছে লালবাজার। 

তবে নিউ নর্মাল পুজোর অষ্টমীতে এ বারই প্রথম কলকাতার বিভিন্ন নামী পুজো কমিটি ফেসবুকে অঞ্জলির লাইভ প্রচার চালিয়েছে। শোভাবাজার রাজবাড়ির অঞ্জলিতে শুধু পরিবারের লোকজন। তা-ও দফায় দফায় কম লোক নিয়ে অঞ্জলি হল। ফুল-বেলপাতা হাতে পিপিই কিট পরে এক জন হাজির হন শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকার মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে। নবদ্বীপের কিছু পুজো কমিটির অঞ্জলি সম্প্রচার দেখে অনেকে বাড়িতে অঞ্জলি দেন। পরে সেই ফুল মণ্ডপে পৌঁছে দেওয়া হয়। আরামবাগেও অনেকে মাইকে মন্ত্র শুনে বাড়িতে বসে অঞ্জলি দিয়েছেন। 

কামারপুকুর মঠে মূল ফটক বন্ধ রেখে কুমারী পুজো হয়েছে। অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অঞ্জলি বন্ধ ছিল কাঁথির কিশোর নগরগড়ের ৩০০ বছরের পুরনো পুজোয়। আবার পটাশপুরের একাধিক মণ্ডপে ভিড় ঠেকাতে শশব্যস্ত উদ্যোক্তারা। গুসকরার হাটতলার পুজোয় পুষ্পাঞ্জলির দাবিতে বিক্ষোভ সামলাতে মাঠে নামে পুলিশ। 

রাজ্যের সার্বিক ছবি বলতে ব্যারিকেডের বাইরে মাইকে মন্ত্র শুনে অঞ্জলির ভিড়। স্যানিটাইজ় করা পাত্রে ফুল নিবেদন। কোথাও দেবীকে সন্দেশ দেওয়া নিষেধ। বদলে গোটা ফল নেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেডের বাইরে ঘেঁষাঘেঁষির অভিযোগ কাটোয়া, দাঁইহাটের কয়েকটি মণ্ডপে। একই সমস্যা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও। খড়্গপুরের কয়েকটি বড় পুজোয় অবশ্য ভার্চুয়াল অঞ্জলি হয়েছে। বীরভূমের দুবরাজপুরে অষ্টমীর বলির পর ‘অস্ত্র মিছিল’ আবার মণ্ডপ-চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকল। বিষ্ণুপুর মল্লরাজবাড়িতে সন্ধিপুজোয় তোপ দাগা দেখতে ভিড় যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশ হাজির ছিল। 

তবে ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে কনকদুর্গা মন্দিরে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছে সিভিক পুলিশ। শিলিগুড়ির আনন্দময়ী কালীবাড়িতে লম্বা লাইন পড়েছে। বিকেল হতেই ভিড় হতে শুরু করেছে শিলিগুড়ি, ইংরেজবাজার, কোচবিহার, রানাঘাট-বাদকুল্লা, মেদিনীপুর-খড়্গপুর, বনগাঁর মতো জনবহুল এলাকার রাস্তায়। ভিড় দিঘা-মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতেও। এ সবই প্রশাসনকে চিন্তায় রেখেছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Pujo, #Durga Puja 2020

আরো দেখুন