যুব মোর্চার কমিটি ভাঙা নিয়ে দিলীপ–সৌমিত্রর বিবাদ তুঙ্গে
বিজেপি–র রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বিবাদ তুঙ্গে যুব মোর্চার। তারই জেরে যুব মোর্চার জেলা কমিটিগুলি ভেঙে দেওয়ায় রাজ্য সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। পরে অবশ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সৌমিত্র তাঁর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। তবে জট কাটেনি। আর এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপি–র অন্দরমহলের কোন্দল।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের যুব মোর্চার জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া এবং জেলা সভাপতিদেরও বরখাস্ত করে দেওয়া নিয়ে। পদাধিকার বলে সৌমিত্র জেলা সভাপতি এবং কমিটিগুলি মনোনীত করেছিলেন। বিজেপি–র নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি মনোনীত করার সময় জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেননি সৌমিত্র। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে একাধিক অভিযোগ আসায় তিনি যুব মোর্চার ওই কমিটিগুলি ভেঙে দেন। ঘটনাটি কেন্দ্র করে শনিবার সকালে যুব মোর্চার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘বিজেওআইএম ওয়েস্টবেঙ্গল অফিসিয়াল’ ছেড়ে বেরিয়ে যান সৌমিত্র। তার আগে সেখানে তিনি সবাইকে শুভ অষ্টমী জানিয়ে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেন। সৌমিত্র বিজেপি–তে মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা সৌমিত্রকে বোঝান। আশ্বাস দেন। তারপর ইস্তফা প্রত্যাহার করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফের যোগ দিয়ে সৌমিত্র লেখেন, ‘কোনও কমিটি বদল হচ্ছে না। তোমাদের ছেড়ে থাকা সম্ভব নয়। তাই ফিরে এলাম।’ পরে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘অভিমান হয়েছিল। কিন্তু কারও জন্য দল ছাড়ব না।’ তাঁর এই যাওয়া–আসা নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘উনি যে গেছেন এবং ফিরেছেন তার কোনওটাই জানি না। সবটাই হোয়াটসঅ্যাপে ঘটেছে। এ নিয়ে সব পুজোর পর ঠিক হবে।’ রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, ইস্তফার বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষকে কৈলা সবিজয়বর্গীয় এবং শিবপ্রকাশ ফোন করেছিলেন। দিলীপ তাঁদের সৌমিত্রর সমান্তরাল সংগঠন চালানোর কথা বলেন। কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথাও জানান। বিজয়া দশমীর দিন অবশ্য দিলীপ ঘোষের বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে আসেন সৌমিত্র। দিলীপও তাঁকে স্নেহাশিস দেন।